বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: জোটের জট ছাড়াতে ফের মুখোমুখি বসছে বাম ও কংগ্রেস। সরস্বতী পুজোর দিন এই বৈঠক হওয়ার কথা। সেদিন ৯৩টি আসনে জট ছাড়ানো নিয়ে কথা বলবে দু’পক্ষ। কিন্তু তার আগেই জোট আলোচনা রীতিমতো ধাক্কা খেল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের সঙ্গে বৈঠক কৌশলে এড়িয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। মঙ্গলবার ভাইজানের সঙ্গে কথা বলতে ফুরফুরা শরিফে যান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেসময় ফুরফুরায় ছিলেন না আব্বাস। তিনি দলীয় কর্মসূচির জন্য বাইরে ছিলেন। মান্নান সাহেব বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ফিরে আসেন। তবে তার আগে আব্বাসের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর।
বাম-কংগ্রেস জোটের আসন রফার জন্য ইতিমধ্যেই তিন দফায় বাম ও কংগ্রেস মুখোমুখি বৈঠক হয়েছে। শেষবার গত রবিবার মুখোমুখি বসেছিল সিপিএম (CPIM) ও কংগ্রেস। আলিমুদ্দিনের হয় বৈঠক। সেদিন সরকারিভাবে ২৩০টি আসনে রফা হয়ে গিয়েছে বলে দু’পক্ষ দাবি করে। কিন্তু সূত্র জানাচ্ছে, বেশ কয়েকটি আসনে জটিলতা থেকে গিয়েছে। আরও জানা যায়, পরবর্তী বৈঠক কবে হবে তাও সে দিন ঠিক হয়নি। বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বিমান বসুদের জানিয়ে দেন সংসদের অধিবেশন শেষ হলে তবেই পরবর্তী বৈঠক হবে। ১৩ তারিখ সংসদ অধিবেশন শেষ হচ্ছে। ১৫ তারিক শহরে আসছেন প্রদেশ সভাপতি।আর ১৬ তারিখে বৈঠকে বসবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এই ভোটটা আমার ভোট, প্রার্থী নিয়ে ভাববেন না’, ফের নিজের ভাবমূর্তিতে ‘বাজি’ মুখ্যমন্ত্রীর]
এই বৈঠকের আগেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করতে চাইছিল বাম ও কংগ্রেস (Congress)। জোটে সামিল হতে চেয়ে আগেই বিমান বসুকে নিজে থেকেই চিঠি দেন ভাইজান। কংগ্রেসকে কোন চিঠি না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন প্রদেশ সভাপতি। তাই রবিবারের বৈঠকে আব্বাসকে নিয়ে আলোচনা করতে চাননি তিনি। চিঠি দিলে তবে তিনি ভেবে দেখবেন বলে বিমান বসুদের জানিয়ে দেন। এর আগে ফুরফুরা শরীফে গিয়ে ভাইজানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan) । কিন্তু আব্বাস নিজে সেভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ দেখাননি আব্বাস। মঙ্গলবার কংগ্রেস সম্পর্কে আব্বাসের মনোভাব বুঝতে ফুরফুরায় যান মান্নান। বাম ও কংগ্রেসের পরবর্তী বৈঠকে যাতে ভাইজানের প্রসঙ্গ তুলতে চাইছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাই এদিন তিনি ফুরফুরা শরীফের যান বলে বিধান ভবন সূত্রে খবর। কিন্তু শেষপর্যন্ত আব্বাসের সঙ্গে দেখাই হল না বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার। সূত্রের খবর, আব্বাসের আজকের আচরণে বেশ ক্ষুব্ধ মান্নান। আগামী দিনে যার প্রভাব পড়তে পারে জোট আলোচনায়।