সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রাম দিবসেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল সোনাচূড়া।শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ঢুকতে না দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠল।হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল-বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আজ অর্থাৎ রবিবার নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূল ও বিজেপির তরফে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে এলাকায়। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করার কথা নন্দীগ্রামের ‘ভূমিপুত্র’ এবং বিজেপি (BJP ) প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তার আগে থেকেই এদিন সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় নজরে পড়ল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার। তাতে বিজেপি নেতাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে সোনাচূড়ায় ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশের সামনেও চলছে বিক্ষোভ-অশান্তি।
[আরও পড়ুন: পদ্ম নাকি ঘাসফুল, কার দখলে পুরুলিয়া? কী বলছে ৯ আসনের ভোটচিত্র?]
অশান্তির মাঝেই এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভাঙাবেড়িয়া এলাকায় যান সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে ভাই শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সুর চড়ান তিনি। বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতক নন। উনি কোনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।” এদিন নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূলের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে দলের বিরুদ্ধেই সরব হন দিব্যেন্দু। বলেন, “আজ যাঁরা তৃণমূলের হয়ে নন্দীগ্রামে এসেছেন, এতবছরে কোনওদিন তাঁরা আসেননি।” এছাড়াও দলের বিরুদ্ধে একাধিক প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। উত্তেজনার মাঝেই এদিন নন্দীগ্রামে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারীও। প্রসঙ্গত, এদিনের অশান্তি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “তৃণমূল জানে নন্দীগ্রামে তাদের হার নিশ্চিত। সেই কারণেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নানারকম চক্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না।”