বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: অবশেষে সংখ্যা সমাধানে পৌঁছতে পেরেছেন বাম-কংগ্রেস জোটের দুই শিবিরের নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে আসনবন্টনে জটিলতা বাড়ছিল। তাই অন্য পথে জোট শিবির। জটিলতা কমাতে এবার আসন ধরে ধরে আলোচনা শুরু করল কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএম (CPIM)। রবিবার আলিমুদ্দিনে বৈঠকে বসে আপাতত ২৩০টি আসনে সমাধানে পৌঁছতে পেরেছেন দুই শিবিরের নেতারা।
আসনরফা নিয়ে দু’বার আলোচনায় বসে বাম ও কংগ্রেস। ১৯৩ টি আসনে রফা হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন জোট শিবিরের নেতারা। কিন্তু তাতে জটিলতা কমার বদলে দিন দিন বেড়েই চলছিল। মূলত বামফ্রন্টের ছোট দুই শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক ও RSP’র সঙ্গে বিধানভবনের বিরোধ চরমে পৌঁছেছিল। কিছু আসনে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ভিন্ন পথের সন্ধানে নেমেছিল দুই শিবির। ঠিক হয় সংখ্যার বদলে আসন ধরে ধরে আলোচনা করলে সমাধান পাওয়া যাবে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে গোটা বামফ্রন্ট নয়, কথাবার্তা চালাবে ফ্রন্টের বড় শরিক CPM। ফ্রন্টের অন্দরে থাকা অন্য শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি আগেই অনুমোদন করিয়ে নেন চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)। জোট এগিয়ে নিয়ে যেতে সিপিএমের কাঁধে দায়িত্বভার তুলে দিতে রাজি হয় শরিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘অনেক ফাউল করেছেন, এবার মানুষ আপনাকে রাম কার্ড দেখাবে’, মমতাকে কটাক্ষ মোদির]
এরপরই রবিবার আলিমুদ্দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিপিএম। দীর্ঘ আলোচনার পর ২৩০ টি আসনে সমাধান করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান। বাকি ৬৪টি আসন নিয়ে আলোচনা করতে ফের দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হবে বলে জানান তিনি। ১৫ তারিখের মধ্যে আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। এদিন দু’পক্ষের বৈঠকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রসঙ্গও তোলেন বিমান বসু। আইএসএফের নেতা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকী জোট চেয়ে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন বলে প্রদেশ নেতাদের জানান। কিন্তু আব্বাসকে নিয়ে এখনই আলোচনা করতে নারাজ প্রদেশ সভাপতি। কংগ্রেসকে সরকারিভাবে চিঠি দিলে তবেই সংখ্যালঘু এই নেতাকে নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আলিমুদ্দিনকে জানিয়ে দেন তিনি।
রবিবার কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ বৈঠকে হাজির ছিলেন বাংলায় পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ-সহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে ঠিক হয় জোট সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর জেলায় জেলায় সম্মেলন করবে কংগ্রেস। সেখানে প্রদেশ নেতৃত্ব ছাড়াও দিল্লি (Delhi) থেকে নেতারা আসবেন। সেইসঙ্গে ভোটপ্রচারে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আসবেন।