রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তৃণমূলের পাপের ঘড়া পূর্ণ। ২ মে দিদিকে ‘দুয়ার’ দেখিয়ে দেবে বাংলার মানুষ। অধিকারীদের গড় কাঁথির বিশাল জনসভা থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ঘোষণা করে দিলেন, এবার ‘বাংলার দরকার, বিজেপির সরকার।’ মোদির দাবি, “আসল পরিবর্তন আজ বাংলার প্রয়োজন। তৃণমূলের খেলা শেষ। বাংলার বাচ্চারাও ওদের খেলা ধরে ফেলেছে। আপনি খেলা করবেন, আমরা সেবা করব। সেবাই আমাদের একমাত্র ধর্ম।”
বুধবার কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের ৩ সদস্যের উপস্থিতিতে মোদি আরও একবার ঘোষণা করে দিলেন, “২ মে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন আসছে।” আরও একবার আমফান (Amphan) দুর্নীতি প্রসঙ্গ মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা, “দিদি আজকাল মেদিনীপুরে এসে নানা রকম অজুহাত তৈরি করছে। যাঁদের আগে আমফান বিধ্বস্ত করেছে, তৃণমূল লুটে নিয়েছে তাঁদের। জবাব দিতে না পেরে বাহানা দিচ্ছেন দিদি। কেন্দ্র আমফানের যে টাকা পাঠিয়েছে, সেই টাকা ভাইপো উইনডোতে ফেঁসে গিয়েছে।” দুর্নীতি ইস্যুতে আরও একবার রাজ্যের শাসক শিবিরকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আমফানের ত্রাণ কে লুটেছে? গরিবের চাল কে লুটেছে? আমফানে বিধ্বস্তরা আজ ভাঙা ছাদের তলায় কেন?” নিজের পুরনো প্রতিশ্রুতি আরও একবার মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার কৃষকরা ভুলতে পারবে না কীভাবে কৃষকদের সঙ্গে নির্মমতা দেখিয়েছে তৃণমূল সরকার। এই টাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে দিল না। দিল্লি সরকার টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্তু দিদি কৃষকদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। লিখে রাখুন, ২ মে বাংলার উন্নয়নের রাস্তার সব বাধা ভেঙে যাবে। সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ৩ বছরের যে টাকা দিদি কৃষকদের দেয়নি, সেই টাকা আপনাদের দেব।”
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে’, মমতাকে কটাক্ষ মোদির]
কাঁথিতে দাঁড়িয়ে মমতাকে (Mamata Banerjee) তীব্র শ্লেষে বিঁধে মোদির মন্তব্য, “দরকারে দিদির দেখা পাওয়া যায় না। ভোটের আগে দুয়ারে সরকার! এটাই এদের খেলা। বাচ্চারাও এই খেলা ধরে ফেলেছে। ২ মে বাংলার মানুষ দিদিকে দুয়ার দেখাবে। বাংলার লোকেরা আপনাকে দরজা দেখাবে। তৃণমূলের পাপের ঘড়া পূর্ণ। মা-বোনেরা তৃণমূলকে শাস্তি দিতে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। দিদি আপনি তো শোনেন না। দেখতে পারলে দেখে নিন। বাংলা চায় শিক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান, নারী সুরক্ষা, কৃষক সম্মান, কর্মচারী সম্মান। বাংলা চায়, বিজেপি সরকার।” এরপরই কর্মীদের নতুন স্লোগান বেঁধে দেন, ‘বাংলার দরকার, বিজেপি সরকার।’