স্টাফ রিপোর্টার: আসন নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। জট তৈরি হয়েছে যৌথ প্রচার নিয়েও। বাম ও আইএসএফের জোট শরিকরা কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচার শুরু করলেও নিশ্চুপ বিধানভবন। জোটের অন্য শরিকদের জন্য ঘাম ঝরাতে নারাজ প্রদেশ।
বৃহস্পতিবার খেঁজুরি থেকে যৌথ প্রচার শুরু করেছে জোট নেতৃত্ব। ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র এবং আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। কিন্তু ছিলেন না কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি। যৌথ প্রচারে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রথম দিনেই সন্দেহ দানা বাঁধে জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে। আলিমুদ্দিনের তরফে বারবার কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে যৌথ প্রচারে যোগ দেওয়ার আবেদন জানান হলেও সাড়া মেলেনি। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের মতো কয়েকজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে যৌথ প্রচারে শামিল হলেও সার্বিকভাবে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বিধানভবনের অনীহা ভাবাচ্ছে আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজারদের। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের হয়ে প্রচারে বাম ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতারা যেতে চাইলেও নীরব কংগ্রেস নেতৃত্ব। আদৌ প্রথম দু’দফায় যৌথ প্রচার চালানো যাবে কি না সন্দেহ দানা বাঁধছে জোটের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: অভিনব দেওয়ালচিত্র, স্কুলের শোভা বাড়িয়ে নজর কাড়ল দিনমজুর পরিবারের ৩ ছাত্র]
শুক্রবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করে আলিমুদ্দিন। প্রথমপর্বে তিনি প্রচার চালাবেন উত্তরবঙ্গে। সেখানে কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মার সমর্থনে একাধিক প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে। সূর্যকান্ত এবং বিমানরা জোট প্রার্থীদের হয়ে প্রচার শুরু করলেও প্রদেশ সভাপতির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আলিমুদ্দিন। অস্বস্তিতে বিধানভবনও। ভোট এগিয়ে এলেও মুর্শিদাবাদের বাইরে কোনও কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। যদিও বিধানভবন সূত্রে খবর, আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জোটের হয়ে প্রচারে নামতে নারাজ প্রদেশ সভাপতি। অনেক ক্ষেত্রেই আসন সমঝোতা মনমতো না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তিনি। যেমন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে সিপিএমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও সম্প্রতি সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে জানায় আলিমুদ্দিনকে। পালটা চাপ দিতে নদিয়া শান্তিপুর দাবি করে বসে সিপিএম। এছাড়াও নদিয়ার আরও দু’টি আসন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে আলিমুদ্দিন। গতবার নদিয়ার তিনটি আসনে কংগ্রেস জয় পেলেও কোনও বিধায়ককে ধরে রাখতে পারেনি। তিনজনই দলবদল করেন। তাই এবার এই তিনটি আসন ছাড়তে নারাজ সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। আলিমুদ্দিন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় যৌথ প্রচার নিয়ে প্রদেশ সভাপতি বেঁকে বসেছেন বলে বিধানভবন সূত্রে খবর। তার এই আচরণে অবশ্য অস্বস্তিতে প্রদেশ অন্যান্য শীর্ষনেতৃত্ব। তাই বাধ্য হয়েই নির্বাচনী প্রচার কমিটির শীর্ষনেতৃত্ব সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জোট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন বলে খবর।