বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: শনিবার পরের দু’দফার ভোটের জন্য বাংলার প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি (BJP)। আজ, রবিবার সেই তালিকা প্রকাশ হবে। প্রথম দুই পর্বের তালিকা আগেই প্রকাশ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে শনিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় বিজেপি কাদের টিকিট দেবে সেই নামের তালিকায় সিলমোহর বসেছে। এই দুই দফা মিলিয়ে ৭৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে পরবর্তী দফাগুলির আরও কিছু আসনের নাম রবিবার ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে কয়েকজন তারকা প্রার্থীও থাকতে পারেন। মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) ভোটে লড়ছেন না। শনিবার রাতে নির্বাচন কমিটির বৈঠকের শেষে বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুন শুধু প্রচারেই অংশ নেবেন। তাঁর প্রার্থী হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই দফায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাঁরা বর্তমান বিধায়ক, তাঁদের প্রার্থী হতে হলে নিজেদের পুরনো কেন্দ্রেই দাঁড়াতে হবে। কিন্তু ব্যতিক্রম কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovon Chaterjee) ক্ষেত্রে। যেহেতু বেহালা পূর্বে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়, তাই চাইলে শোভন অন্য কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন। ডোমজুড় থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দু’দফার ক্ষেত্রে যতটা মসৃণভাবে বিজেপির প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হয়েছিল, তা পরবর্তী দফাগুলির ক্ষেত্রে হচ্ছে না। কারণ, প্রতিটি আসনেই বহু দাবিদার। এদিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পরেও গভীর রাতে আলাদা করে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুল সুপ্রিয়-সহ বেশ কয়েকজন এমপি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন। এদিন রাতের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছিলেন না বলে জানান মুকুল রায়। আজ, রবিবার নন্দীগ্রাম দিবস থাকায় শুভেন্দু শনিবার রাতেই কলকাতা ফিরে যান।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে একটিও ভোট নয়’, কলকাতায় এসে আরজি কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের]
এদিন সকালে প্রাথমিকভাবে দু’দফার প্রার্থীদের নাম ঠিক করতে অমিত শাহ থেকে শুরু করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda), সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষরা রাজ্য বিজেপির কোর গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। নাড্ডার বাসভবনে সেই বৈঠক চলেছে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বৈঠকে প্রার্থীতালিকার পাশাপাশি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার কারণে রাজ্যের মানুষের সহানুভূতির ভোট তৃণমূলের দিকে চলে যেতে পারে কি না এবং তা হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে সেই রণকৌশল নিয়ে বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়।