রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ৩৫ বছর পর অধিকারী গড় কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে অধিকারী পরিবারের তিন সদস্য -শিশির, শুভেন্দু এবং সৌমেন্দু। মোদির বক্তব্য শুনতে দর্শকাসনে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর স্ত্রী। কিন্তু সেই সভায় দেখা গেল না দিব্যেন্দুকে। কিন্তু কেন? তবে কি ঘাসফুলেই থাকছেন তমলুকের সাংসদ? তুঙ্গে জল্পনা।
২১ মার্চ এগরায় অমিত শাহর সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী। শাহের ঠিক পাশেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মঞ্চে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। সুর চড়িয়েছিলেন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। সেই থেকে শোনা যাচ্ছিল, মোদির কাঁথির সভায় যাবেন দিব্যেন্দু। যদিও শেষ মুহূর্তে তমলুকের সাংসদের অবস্থান নিয়ে দোলাচল তৈরি হয়। তিনি আদৌ মোদির সভায় যাবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দিব্যেন্দু অধিকারীও এবিষয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি। এদিন জল্পনা বাড়িয়ে তাঁকে শুধু বলতে শোনা গিয়েছিল, সভা শুরুর পরই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। মোদির সভামঞ্চে শিশির, শুভেন্দু ও সৌমেন্দুকে দেখা গেলেও সেখানে ছিলেন না দিব্যেন্দু।
[আরও পড়ুন: শালপাতার সন্ধানে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, দুমকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত মালদহের ৩ যুবক]
গত নভেম্বরে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো শুরু করেছিলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। পরবর্তীতে সমস্ত পদ ও দল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি। তাঁর পথে হেঁটে অধিকারী পরিবারের ছোটছেলে সৌমেন্দুও বিজেপিতে যোগ দেন। স্বাভাবিকভাবেই পরে একাধিকবার প্রাক্তন সহকর্মীরা নিশানা করেছিলেন তাঁকে। তারপরই শুভেন্দুর পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল শিশিরকে। সেই থেকেই তাঁর সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে তিনিও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। আজ অর্থাৎ বুধবার মোদির পাশে হাজির থাকার কথা ছিল দিব্যেন্দু-সহ গোটা অধিকারী পরিবারের। কিন্তু কাঙ্খিত সেই দৃশ্য দেখা গেল না মোদির মঞ্চে। সভায় গেলেন না দিব্যেন্দু। বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদির সভায় তমলুক সাংসদের অনুপস্থিতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।