স্টাফ রিপোর্টার: এবার পোলিং এজেন্ট (Polling Agent) নিয়োগের নিয়ম কিছুটা শিথিল করল নির্বাচন কমিশন। এখন থেকে যে কোনও বিধানসভা (West Bengal Assembly Election) কেন্দ্রের যে কোনও ভোটদাতা শর্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে পোলিং এজেন্ট হওয়ার নিয়ম ছিল, কোনও বুথে পোলিং এজেন্ট হিসাবে সেই বুথের অথবা পার্শ্ববর্তী বুথের ভোটদাতা হতে হবে।কমিশনের এই নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। এর ফলে কোথাও সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলেও সব বুথে এজেন্ট দিতে আর কোনও অসুবিধায় পড়তে হবে না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। অন্তত তাঁদের এমনটাই দাবি।
প্রতি বুথে নির্বাচনে অংগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসাবে একজন পোলিং এজেন্ট এবং তাঁর রিলিভার হিসাবে আরও দু’জনকে নিয়োগ করা যেত। কিন্তু এবার বুথ সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় এই নিয়ম শিথিল করেছে কমিশন। এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপযুক্ত পোলিং এজেন্ট না পেলে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও ভোটদাতাকেই রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: ধনীদের ভোট! রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনের ১৯ জন প্রার্থী কোটিপতি]
পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করার নিয়মের এই শিথিলতা রাজনৈতিক দলগুলিকে সুবিধা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিরোধীদের। কারণ, রাজ্যের বিগত নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয়েই হোক, আর সাংগঠনিক দুর্বলতার জেরেই হোক, রাজ্যের বহু বুথে এজেন্ট বসাতে পারেনি বিরোধী শিবির। এমনকী যে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিল, তাঁরাও রাজ্যের বহু বুথে এজেন্ট বসাতে পারেনি।ভোটকেন্দ্রের ভিতরে এই এজেন্টদের উপস্থিতি অনেকক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট না থাকলে দলের ভোটারদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরার প্রবণতা দেখা যায়। যার ফলে সুবিধা পায় বিরোধীরা। কমিশনের (Election Commission) এই নতুন নিয়মের ফলে আর কোনও শিবিরেরই পোলিং এজেন্ট বসাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কোথাও সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলেও সেখানে অন্য এলাকা থেকে এজেন্ট এনে বসানো যাবে।