shono
Advertisement

তৃণমূলকে বিদায় দেওয়ার সংকল্প করে ফেলেছে বাংলার মানুষ, দাবি নাড্ডার

শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় মমতা ঘাবড়ে গিয়েছেন, বলছেন বিজেপি সভাপতি।
Posted: 02:13 PM Mar 31, 2021Updated: 02:20 PM Mar 31, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হারাতে বদ্ধপরিকর। প্রথম দফার ভোটেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বুধবার ধনেখালির সভা থেকে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। ধনেখালির সভায় নাড্ডা বলছেন, “প্রথম দফায় প্রায় ৭৯ শতাংশ ভোট হয়েছে। বাংলার মতো রাজ্যে যেখানে মমতা দিদি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছিলেন, তৃণমূল আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছিল, সেখানে ৭৯ শতাংশ ভোট মানুষ দিয়েছে। যার অর্থ বাংলার মানুষ দৃঢ় সংকল্প যে তৃণমূল হারছেই। শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় মমতা ঘাবড়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা কমিশনে (Election Commission) পৌঁছে গেলেন। বলছেন, দাদা ভোট হবে না। পদ্ম চিহ্নে ছাপ দিয়েছেন মানুষ, সাফ হয়েছে তৃণমূল।”

Advertisement

এই মুহূর্তে রাজ্য তথা গোটা দেশের রাজনীতির মূল ফোকাস নন্দীগ্রামে। ধনেখালির সভা থেকেও তাই নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডার সাফ কথা,”আপনারা জেনে রাখুন মমতাদি নন্দীগ্রামে হারছেন। দিদির চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু গ্রহণ করেছে। নন্দীগ্রামের মানুষ স্পষ্ট করে দেবেন, বাংলায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে।” জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, “মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কেন নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে যেতে হল? শুভেন্দু তো নিজের কেন্দ্র ছেড়ে আপনার কেন্দ্রে আসেননি? শুভেন্দুকে আটকাতে আপনাকেই নন্দীগ্রাম (Nandigram) যেতে হল, তাহলে বড় নেতা কে? মুখ্যমন্ত্রী যদি কারও আসনে লড়তে যান, তাহলে বড় নেতা কে হল? আপনার আসনে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে লড়তে আসতে হয়, তাহলে বড় নেতা কে?”

[আরও পড়ুন: ‘বর্গি’দের তাড়াতে গর্জে উঠলেন ‘বাঘিনী’ মমতা, প্রকাশ্যে ‘ফাইটার দিদি’র তৃতীয় ভিডিও]

ধনেখালির সভা থেকে আরও একবার মমতার বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন নাড্ডা। তাঁর কটাক্ষ,”আপনি মহরম পালন করুন, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) শিলান্যাসের দিন বাংলায় কারফিউ কেন? অযোধ্যায় রাম মন্দির হওয়া উচিত কিনা? তাহলে বাংলায় কারফিউ কেন? দুর্গাপূজার বিসর্জনে বাধা দেওয়া হয় কেন? সরস্বতী পূজায় কেন বাধা দেওয়া হয়? বিজেপি সভাপতি বলছেন, “এই নির্বাচনে উন্নয়নের নতুন কাহিনী লেখা হবে। এই নির্বাচনে নতুন উদ্যোগে আসল পরিবর্তন আনার নির্বাচন। এটা গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর ভোট, এটা কৃষকদের সমৃদ্ধি আনার ভোট, যুবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের ভোট, পরিবর্তনের ভোট, সোনার বাংলা গড়ার ভোট।ওঁরা মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে, এবার সময় এসেছে আপনারা ওঁদের শিক্ষা দিন, এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার বানান।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement