স্টাফ রিপোর্টার: নন্দীগ্রামের (Nandigram) মতো হাই ভোল্টেজ আসন। সেই আসন আব্বাসদের ছেড়ে দিলেও নয়া জটিলতায় সংযুক্ত মোর্চা। কমিশন থেকে এখনও প্রতীক মেলেনি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF)।
এমন পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ জোট নেতৃত্বের। সংখ্যালঘু ভোটের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ৩৭টি আসন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) নয়া দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছেড়ে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। আইএসএফের আসনসংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব নাকি বাবা-মাকে নিয়ে অশান্তি? রসিকা মৃত্যু রহস্যে নয়া তথ্য]
বাম ও কংগ্রেসের উপর চাপ বজায় রেখেছেন ভাইজানরা। কিন্তু গোল বেধেছে অন্য জায়গায়। আজ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও প্রতীক কী হবে তা অজানা। তাই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রার্থীদের নিয়ে কীভাবে প্রচার সংঘটিত করা হবে, চিন্তায় আলিমুদ্দিন। কমিশন থেকে প্রতীক পাওয়া গেলেও তা ভোটারদের কাছে কীভাবে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েও চিন্তায় মোর্চা নেতৃত্ব। তবে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মনোনয়ন পেশ না করা পর্যন্ত অস্বীকৃত কোনও রাজনৈতিক দলের আগাম প্রতীক মেলে না। তা ঠিক হয় মনোনয়ন পেশের পর। এবং প্রার্থীকে বলা হয়, কমিশনের (Election Commission) তালিকায় থাকা প্রতীক থেকে নিজের পছন্দের প্রতীক বেছে আবেদন করতে। তারপর মেলে প্রতীক।
সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের সব শরিককে ভাইজানের জন্য আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। ভাইজানের সর্মথকরা যেমন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থীদের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে থাকবে, তেমন বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের থাকতে হবে। কিন্তু প্রতীক সমস্যা না মেটায় চিন্তায় জেলা নেতৃত্বও। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা জানতে আলিমুদ্দিন-সহ শরিক দলের নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা নেতারা।