সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জখম হওয়ার ঘটনায় ফের বিজেপিকে নিশানা করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পনামাফিক আক্রমণ করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। অর্থাৎ হামলার তত্ত্বেই অনড় অভিষেক। নিশানা করলেন মোদি-অমিত শাহকেও।
সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেন তিনি। অমিত শাহের ঝাড়গ্রাম না যাওয়াকে বিদ্রুপ করে তিনি বলেন, “ওই মাঠে যে চার-পাঁচজন লোক এসেছিলেন, তার থেকে বেশি লোক চায়ের দোকানের আড্ডায় থাকেন।” অমিত শাহকে বহিরাগতদের ‘নায়ক’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। এরপরই তিনি বলেন, “এক মহিলার উপর হামলা করতে গিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে একটা দল।” অর্থাৎ ফের ইঙ্গিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার অভিযোগ করেন তিনি। সভা থেকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকেও। আগে বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে মেদিনীপুরবাসীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করলেও এদিন অত্যন্ত সাবধানী হয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “ঈশ্বরচন্দ্রের মেদিনীপুরের মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা জানেন না। শুধু এখানকার একজনই বিশ্বাসঘাতক।”
[আরও পড়ুন: ‘ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছি সেদিন’, নন্দীগ্রামের ‘ঘটনা’ প্রসঙ্গে বললেন মমতা]
উল্লেখ্য, জখম হওয়ার দিন নন্দীগ্রাম থেকেই চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরবর্তীতে আর এহেন অভিযোগ শোনা যায়নি তাঁর গলায়। উলটে তিনি বলেছিলেন, “আমি গাড়ির বনেটে বসে প্রণাম করার সময়ে ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে চোট লাগে।” এই ঘটনার জল গড়িয়েছে কমিশন পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। ওই দিনের ঘটনার জেরে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে অপসারণ করা হয়েছে রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে। মমতার উপরে যে হামলাই হয়েছে, সেই তত্ত্বে এখনও অনড় অভিষেক।