বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রথম দফা ভোটের আর দিন দশেক বাকি। তার আগে নয়া বিড়ম্বনায় আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)। বাংলার নির্বাচনে নিজেদের নাম বা প্রতীক কোনওটাতেই লড়তে পারছেন না আব্বাস। সূত্রের খবর, এখনও সরকারিভাবে দলের রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় বিহারের একটি দলের প্রতীক এবং নামে প্রার্থী দাঁড় করাতে হচ্ছে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাকে। যার অর্থ ইভিএমে কোথাও আব্বাসের দলের ‘নিজস্ব’ কোনও কিছুর উল্লেখ থাকছে না।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তারপর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয় রেজিস্ট্রেশনের জন্য। কিন্তু এখনও আব্বাসের (Abbas Siddiqui) দল রেজিস্ট্রেশন পায়নি। যার জেরে বাংলার নির্বাচনে লড়তে হলে, তাঁদের প্রার্থীদের লড়তে হত নির্দল হিসেবে। সেক্ষেত্রে, গোটা রাজ্যে একই প্রতীক নিয়ে লড়তে পারতেন না ভাইজানের দলের প্রার্থীরা। একেক কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থীরা একেক রকম প্রতীক পেত। যার ফলে বড়সড় বিভ্রান্তি তৈরির সম্ভাবনা ছিল। সেই বিভ্রান্তি এড়াতে ঘুরপথে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবে আইএসএফের (ISF) শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান থেকে সরাসরি অর্থসাহায্য, ইস্তেহার প্রকাশের আগেই ‘অঙ্গীকারপত্রে’ চমক তৃণমূলের]
খাতায় কলমে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতীক ‘খাম’ হলেও, সেটি আসলে তাঁদের নিজস্ব প্রতীক নয়। এমনকী আইএসএফ প্রার্থীরা নিজের দলের নামে মনোনয়নও পেশ করেননি। আসলে নির্বাচন কমিশন এখনও আব্বাসের দলকে সরকারিভাবে কোনও প্রতীক দেয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিহারের অখ্যাত একটি দল ‘রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিশ পার্টি’র নাম এবং প্রতীক ধার করতে হয়েছে আইএসএফকে। এই ‘রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিশ পার্টি’র (Indian Secular Majlis Party) হয়েই মনোনয়ন করেছেন আইএসএফ প্রার্থীরা। যার অর্থ, বাংলার নির্বাচনে আইএসএফ প্রার্থীরা লড়বেন ‘রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিশ পার্টির’ নামেই। আইএসএফ নামের কোনও দলকে এবারের ভোটে সরকারিভাবে দেখা যাবে না। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে অন্য দলের প্রতীক কি আদৌ ব্যবহার সম্ভব? আইএসএফ শীর্ষ নেতাদের দাবি, তাঁদের দলের সঙ্গে বিহারের ওই দলটির জোট রয়েছে। তাই জোটসঙ্গীদের প্রতীক এবং নাম ব্যবহারে কোনও বাধা নেই। সে যাই হোক, মোদ্দা কথা হল, বাংলার ভোটে আইএসএফ নিজের নাম বা প্রতীক কোনওটিই ব্যবহার করতে পারছে না। যা জোট শিবিরের জন্য রীতিমতো অস্বস্তিকর।