shono
Advertisement

কর্মসংস্থান থেকে সরাসরি অর্থসাহায্য, ইস্তেহার প্রকাশের আগেই ‘অঙ্গীকারপত্রে’চমক তৃণমূলের

শাসকদলের অঙ্গীকারপত্রে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি রীতিমতো চমকপ্রদ।
Posted: 08:57 AM Mar 17, 2021Updated: 08:57 AM Mar 17, 2021

স্টাফ রিপোর্টার: ইস্তেহার প্রকাশের একদিন আগেই অঙ্গীকারপত্রে ছাড় পেয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। মঙ্গলবার তৃণমূলের অঙ্গীকারপত্রে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কী রয়েছে সেই অঙ্গীকারপত্রে? তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অঙ্গীকারপত্রে বেশ কিছু চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

  • ৩৫ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্রের হাত থেকে পরিত্রাণ করা হবে।
  • দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে।
  • ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু করা হবে। ফলে বাড়িতেই রেশন পৌঁছে যাবে।
  • ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে।বেকারত্বের হার কমিয়ে অর্ধেক করা হবে।
  • বাংলার প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ১.৬ কোটি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬৮ লক্ষ কৃষককে প্রতি বছর দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
  • ১০ লক্ষ এমএসএমই (MSME) ইউনিট গড়ে তোলা হবে। বড় শিল্পে ৫ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ করা হবে।
  • প্রতি ব্লকে মডেল আবাসিক স্কুল এবং বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৫ লক্ষ আবাসন তৈরি হবে।
  • প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ, জল পৌঁছাবে এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার জয়পুরে ‘বিকল্প’ প্রার্থী পেল তৃণমূল, বিক্ষুব্ধ নির্দলকেই সমর্থন অভিষেকের]

ইস্তেহার প্রকাশের আগে শাসক দলের এই অঙ্গীকারপত্রে ছাড় পাওয়াটা বেশ চমকপ্রদ। সব ঠিক থাকলে আজই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করবে রাজ্যের শাসকদল। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে লক্ষ্য হবে আরও প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছানো। আরও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসা। সেই সম্প্রদায়গুলিকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া। সেই প্রতিশ্রুতির কথাই লেখা দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে। সূচিতে নতুন করে কোনও বদল না হলে আজ, বুধবার সেই ইস্তাহার প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তাতে থাকতে পারে একাধিক চমক। আজ কালীঘাটে নিজের কার্যালয় থেকে তা প্রকাশ করার কথা মমতার (Mamata Banerjee)।

[আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবিরে অব্যাহত ‘প্রার্থী’ বিক্ষোভ, দিনভর উত্তপ্ত কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত]

ইতিমধ্যে ‘দুয়ারে রেশন’ অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিকল্পনার কথা প্রচারে গিয়ে বলেছেন মমতা। তার পাশাপাশিই থাকছে পিছিয়ে পড়া নানা সম্প্রদায়ের মানুষের কথা। তাদের উন্নয়নের কথা। একটি সূত্র দাবি করেছে, পিছিয়ে পড়া বেশ কিছু সম্প্রদায়কে এই সূত্রেই বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। দলের ইস্তেহারে সেই প্রসঙ্গ থাকছে। ইতিমধ্যে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে কড়াকড়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কোনও মূল্যে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, জাতিগত শংসাপত্র পেতে যেন কোনও সমস্যা না হয়। তার পর থেকেই কয়েক লক্ষ শংসাপত্র দেওয়ার কাজ হয়েছে দুয়ারে সরকারের শিবিরে। এ কথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন। ইস্তেহারেও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement