বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সোমবার থেকেই বিধানসভার (Assembly) শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়। বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই বিঘ্ন। শোকপ্রস্তাব পাঠ ও নীরবতা পালনের সময় বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে বেজে উঠল মোবাইল। তাতেই ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, শোকপ্রস্তাবে বাংলাদেশে হিংসার কথা উত্থাপিত না হওয়ার অভিযোগে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার থেকে বিধানসভায় যোগ না দেওয়ার কথা জানালেন তিনি।
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে শোকপ্রস্তাব পাঠ এবং নীরবতা পালন চলার সময় মোবাইল বেজে ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই ছন্দপতন হয়। বিরক্ত হন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। শোকপ্রস্তাব পাঠ এবং নীরবতা পালন শেষ হতেই বিধায়কদের কার্যত ভর্ৎসনা করলেন তিনি। অধিবেশন কক্ষে তিনি বলেন, “বিধায়কদের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ অবাঞ্চনীয়।” অধিবেশন চলাকালীন মোবাইল বন্ধ অথবা সাইলেন্ট করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই। তবে সে নির্দেশ কেউই মানছেন না বলেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের রায়, দীপাবলিতে সব বাজি নিষিদ্ধ নয়, ঘোষণা শীর্ষ আদালতের]
এদিকে, এদিন বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় মোমবাতি মিছিল করে বিজেপি। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। শোকপ্রস্তাবে কেন বাংলাদেশের হিংসার কথা উল্লেখ করা হল না, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা আসবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী জানান, “আমরা বিএ কমিটির বৈঠকে থাকি না। থাকব না। উৎসবের মরশুমে আমরা মানুষের পাশে থাকব।” তবে বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর করোনার জেরে বিধানসভার অধিবেশন পর্ব থমকে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার থেকে ফিরছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এবার শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার বিধানসভায় একগুচ্ছ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আগামী সোমবার নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকতে পারেন বিধানসভায়।