রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কলকাতার পুরনির্বাচনের (Kolkata Civic Polls) প্রস্তুতি তথৈবচ। তৃণমূল, বাম এমনকী কংগ্রেসও (Congress) যেখানে প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে প্রস্তুতি শুরু করে ফেলেছে, সেখানে বিজেপি এখনও নিজেদের কোন্দল মেটাতে ব্যস্ত। গেরুয়া শিবির এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে উঠতে পারেনি। যা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার পুরভোটের ফলাফল থেকেই অক্সিজেন নিতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা। দলের রাজ্য নেতারা আশায় বুক বাঁধছেন, পড়শি রাজ্যের এই ফলাফল এরাজ্যের মিইয়ে পড়া কর্মীদের কিছুটা হলেও চাঙ্গা করবে।
কলকাতা পুরসভায় ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। যা খবর তাতে সোমবারের আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি কর্মীদের অনেকেই পরিশ্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় দলের জয় নিয়ে দলের রাজ্য নেতারা রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন, পড়শি রাজ্যের পুরভোটের ফলের প্রভাব এরাজ্যেও পড়বে। সম্ভবত সেকারণেই রাজ্যের ভোটের তথৈবচ প্রস্তুতির মধ্যেও দলের রাজ্য দপ্তরের সামনে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের। ত্রিপুরার জয় এ রাজ্যে উদযাপন করল বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য দপ্তরের সামনে মিষ্টি বিলি করা হল। উচ্ছাস দেখালেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: Tripura Civic Polls 2021: ‘এবার আসল খেলা হবে’, ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল হয়ে টুইট অভিষেকের]
ত্রিপুরায় দলের জয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, এই ফলাফলই প্রমাণ করছে মানুষ বিজেপির পাশে আছে। তিনি বলছেন, “ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন। এখান থেকে গুন্ডা নিয়ে গিয়ে গন্ডগোল করে কিছু হয় না। ত্রিপুরার মানুষ এটা প্রমাণ করে দিয়েছে। ত্রিপুরায় কখনওই আমাদের অন্যতম বিরোধী ছিল না তৃণমূল। মানুষ বিজেপির পাশে আছে।” দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh) বলছেন, “হিংসাশ্রয়ী, যারা উৎপাত করতে গিয়েছিল সেই তৃণমূলকে মানুষ সমর্থন করেনি। বিপ্লব দেব ও বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে ত্রিপুরাবাসীর। ত্রিপুরায় যে উন্নয়ন হয়েছে মানুষ সেটাকেই গুরুত্ব দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: Tripura Civic Polls 2021: ত্রিপুরায় বড় জয় বিজেপির, প্রথমবার লড়েই প্রধান বিরোধী আসনে তৃণমূল]
দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিতও দিয়েছেন ত্রিপুরার এই সাফল্যের প্রভাব বঙ্গ নির্বাচনে কিছুটা হলেও পড়বে। বস্তুত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরা মডেলকে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। সেবার হতাশ হতে হলেও পুরভোটে ত্রিপুরার সাফল্যকে পাথেয় করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।