শুভঙ্কর বসু: নথি এবং উপযুক্ত যোগ্যতা ছাড়াই শিক্ষকতা করছেন অনেকেই। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ২০১৬-র প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে নিয়োগ হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চে ৪২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জমা দিল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বুধবার মুখবন্ধ খামে ওই রিপোর্ট জমা দিতে চায় পর্ষদ। জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট দেওয়ার কথা জানানো হয় তাদের তরফে। কিন্তু মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা নিতে অস্বীকার করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। পর্ষদের এই আরজি প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “তথ্য লুকোনোর কিছু নেই।” মামলাকারীর তরফে দাবি করা হয়, চলতি বছরেও বেশ কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করে দুর্গাপুজোয় বাধা! বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার]
যদিও পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মীকুমার গুপ্ত বলেন, ‘বোর্ড নিয়োগ করে না। প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। নিয়োগ করে জেলা। ফলে এই বিষয়টি বোর্ডের আওতাধীন নয়।’ পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ৪২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মামলাকারীকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নথি খতিয়ে দেখে আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে মামলাকারীকে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের এক শিক্ষকের পর্যাপ্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে জানা যায়, শুধু ওই শিক্ষকই নন, আরও ১২ জন শিক্ষকও নথি ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে স্বতপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: খড়দহ-টিটাগড়ের পর দমদম, ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ শিশুর]