shono
Advertisement

শতাংশের হারে ভোটপ্রাপ্তি ঊর্ধ্বমুখী, উপনির্বাচনের ফলে আশার আলো বাম শিবিরে

বামেদের ভোটবৃদ্ধিতে খুশি কংগ্রেসও।
Posted: 08:53 PM Nov 02, 2021Updated: 08:53 PM Nov 02, 2021

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: চারের মধ্যে তিনটিতে জমানত বাজেয়াপ্ত। তৃতীয় হয়েও মুখ বাঁচিয়েছে শান্তিপুর। তারপরেও আশার আলো বাম শিবিরে (Left Front)। শতাংশের বিচারে গেরুয়া শিবিরে গ্রাফ যখন নিম্নমুখী তখন ঊর্ধ্বমুখী বামেদের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ। যতো দিন যাবে রাজ্যে বামেদের কামব্যাক হতে বাধ্য বলেই মনে করছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।

Advertisement

বিধানসভা ভোটে ৫ শতাংশের নিচে ভোট পায় সিপিএম (CPIM)। আর বামফ্রন্ট পায় ৭ শতাংশের কাছাকাছি। উপনির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপনির্বাচনে বিজেপির ভোট কমলেও তা নিজেদের ঝুলিতে আনতে ব্যর্থ হয় বাম শিবির। ভোট যায় শাসকদলের পকেটে। এবার উপনির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট জানিয়ে দেন কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে নির্বাচনী জোট হয়েছিল। ‘ভোট শেষ। তাই জোট শেষ।’ সিপিএম নেতৃত্বের অবস্থান বদলে ক্ষুব্ধ হয় বিধানভবন। কংগ্রেস জোট ভাঙার দায় নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। তারপরেও উপনির্বাচনের আগে শান্তিপুরে প্রার্থী দিতে চেয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথাও বলেও তিনি। কিন্তু প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান। শান্তিপুরে জোট ভেঙে প্রার্থী দেয় সিপিএম ও কংগ্রেস। যদিও বাকি তিন আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস।

[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট! দিনক্ষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা রাজ্যের]

এককভাবে লড়াই করে এবার ১০ শতাংশ ভোট নিজেদের ঝুলিতে আনতে সক্ষম বামেরা। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি ৩৮ শতাংশ থেকে নেমে যখন ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তখন তিন শতাংশ বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছে বামেরা। তবে এককভাবে সিপিএম দু’টি আসনে লড়াই করে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, এরাজ্যে জোর করে হাওয়া ভরে বিজেপির (BJP) ফানুস ফুলিয়ে ছাড়া হয়েছিল। সেই ফানুসের হাওয়া বেরোতে শুরু করেছে। তৃণমূল (TMC) বিরোধীরা বামেদের দিকে ফিরবেই বলে মনে করেন তিনি। হারবো জেনেই উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

[আরও পড়ুন: ৩ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত বিজেপির, ফলপ্রকাশের দিনই রাজ্য নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ তথাগতর]

বামেদের ভোট শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাবাদী প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীও (Adhir Chowdhury)। তিনি জানান, উপনির্বাচনের ফলাফল সব সময় সরকারের পক্ষে যায়। তবে শান্তিপুরে বামেদের পক্ষে ভাল ভোট পড়ায় ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement