ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের যে সাত কেন্দ্রে নির্বাচন বা উপনির্বাচন (West Bengal By-Elections) হওয়ার কথা, সেই কেন্দ্রগুলি এই মুহূর্তে কার্যত কোভিড (Covid-19) শূন্য। রীতিমতো বিধানসভা ভিত্তিক তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একথা জানাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে উপনির্বাচন করার ক্ষেত্রে করোনা যে আর বাধা নয়, সেটা বোঝাতে বিধানসভা ভিত্তিক তথ্য কমিশনের দরবারে তুলে ধরবে শাসকদল। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।
কোভিড বিধি মেনে বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections) কীভাবে সম্ভব? রাজনৈতিক দলগুলির কাছে তা নিয়ে মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মতামত জানাতে হবে। সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) জানিয়েছেন, দল হিসাবে যথাসময়েই নিজেদের মতামত জানিয়ে দেবে তৃণমূল। সরকারের কাছে যদি কমিশন মতামত জানতে চায়, সেটাও সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: একধাক্কায় অনেকটা কমল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ, তবে চিন্তায় রাখছে ৪ জেলা]
তৃণমূল (TMC) সূত্রের খবর, কমিশনকে জানানোর জন্য ৭ কেন্দ্রে কয়েক সপ্তাহের এলাকাভিত্তিক কোভিড রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের যে সব কেন্দ্রে (ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, দিনহাটা) নির্বাচন বাকি ইতিমধ্যেই সেসব জায়গার সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছে শাসক দল। এবং তাতে দেখা গিয়েছে এই কেন্দ্রগুলিতে করোনা কার্যত প্রভাবহীন। জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জে গত সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যে একটিও কোভিড ধরা পড়েনি। দিনহাটায় গত সপ্তাহ কোভিড হয়েছে মোটে দু’চার জনের। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুরও এখন কোভিড শূন্য। শান্তিপুর এবং গোসাবাতেও তাই। খড়দহে গত সপ্তাহে নামমাত্র করোনা হয়েছে। কমিশনকে এই রিপোর্টই নাকি দিতে চলেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকার বার্তা! পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘দুয়ারে সরকারের’ হেল্প ডেস্ক খুলল CPM]
প্রসঙ্গত, নির্বাচন করা নিয়ে এবার ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশন কর্তারা। সে কারণেই কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন কমিশন (Election Commission) কর্তারা। আইসিএমআরের (ICMR) গাইডলাইনগুলিও নজরে রাখা হচ্ছে।