অর্ণব দাস, বারাকপুর: মঙ্গলবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে এক মহিলা তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে ছিলেন বরানগর (baranagar) বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। বুধবারও ঘটল ঠিক একই ঘটনা। এক তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ালেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। শাসক দল তৃণমূলের দাবি, তর্ক করা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। যদিও পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূল এটা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার (Baranagar Municipality) ১৪নম্বর ওয়ার্ডের ডানলপ মোড় সংলগ্ন এলাকায় বুধবার সকালে জনসংযোগ করছিলেন উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। সেই সময় ওই এলাকার একটি চায়ের দোকানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদার। সজল সেই চায়ের দোকানের সামনে আসতেই তর্ক বাধে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক! আটক কংগ্রেস প্রধানের ছেলে]
বিজেপি প্রার্থীকে তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, "ওয়ার্ডে তো ঘুরলেন, রাস্তা, জল, আলো কোনও সমস্যা দেখলেন? আপনি দিনরাত এখানে পড়ে থাকলেও মাইনাস। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, হেরে গেলে আপনাকে দেখা যাবে তো?" পালটা ওয়ার্ডে কোনও সমস্যা থাকলে জানাবেন বলে সজল ঘোষ বলেন, "আমার হারার কোনও প্রশ্নই নেই। তবুও ভুল করেও যদি আপনার প্রার্থী জেতেন তাহলে তাকেও দেখা যাবে না।"
[আরও পড়ুন: বর্ধমান-পূর্বে প্রকাশ্যে বিজেপির কোন্দল, প্রার্থী বদল না হলে ‘বোমা ফাটানোর’ হুঁশিয়ারি জেলা নেতৃত্বের]
উত্তপ্ত এই বাক্য বিনিময়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বেঁধে গেলে তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, "২০২১ সায়ন্তিকা বাঁকুড়ায় হেরেছিলেন, তারপরও ২০২৪ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পরে ছিলেন।" এরপর পরই কাউন্সিলর স্লোগান তোলেন, "যতই পরো ধর্মের টিকা, বরানগর জিতবে সায়ন্তিকা।" সেই সঙ্গে উপস্থিত বাকি তৃণমূল কর্মীরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। এই স্লোগানে স্লোগানে উত্তেজনা আরও বাড়ে। শেষে ঘটনাস্থল ছাড়েন বিজেপি প্রার্থী সজল।