গৌতম ব্রহ্ম: কলেজে ভরতি সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যেখানে কোন কলেজে কত আসন, কোন প্রক্রিয়ায় ভরতি, কীভাবে আবেদন জানাবেন পড়ুয়ারা, তা বিস্তারিত থাকবে সেই পোর্টালে। এই মর্মে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের অন্তর্গত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে (Chief Minister) আনার প্রস্তাবও মন্ত্রিসভায় গৃহীত হল।
রাজ্যের কলেজগুলিতে ভরতির প্রক্রিয়া সরলীকরণ করতে চাইছে সরকার। সেই উদ্দেশ্যে নয়া পোর্টাল তৈরি করতে চাইছে উচ্চ শিক্ষাদপ্তর। তাই কলেজের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁরা রাজ্যের প্রস্তাবে সহমত হয়েছেন। শিক্ষাদপ্তরের প্রস্তাবে সহমত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার প্রথা মেনে প্রস্তাব পেশ হল মন্ত্রিসভায়। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভায় গৃহীত হল প্রস্তাবও। এবার তাদের ছাড়পত্রের অপেক্ষা।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে বিপাকে, তদন্তের মুখে ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষক]
এদিনের নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলিয়াতেও আচার্য পদে রদবদল ঘটানো হবে। রাজ্যপালের বদলে এই পদে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরানো হচ্ছে রাজ্যাপালকে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিলও পাস হয়েছে বিধানসভায়। যদিও রাজ্যপালের সম্মতি এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গত সাত বছর ধরে বিএ, বিএসসি, বিকম অনার্স বা জেনারেলের ভরতি চলছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। এবার চালু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় অনলাইন প্রক্রিয়া। অর্থাৎ রাজ্যের প্রায় ৫৫০ টি ডিগ্রি কলেজের জন্য প্রকাশ হবে একটাই মেধা তালিকা। ভরতিকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে উচ্চশিক্ষা দুপ্। কোভিডের কারণে গত দু’বছর স্নাতকে ভরতির আবেদনের জন্য ফি নেয়নি রাজ্য। উচ্চশিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় অনলাইন প্রক্রিয়ায় ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।