ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যের সকল বাসিন্দাকে দ্রুত টিকা দিতে চেয়ে কোভিড ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) কিনছিল রাজ্য। ৫ কোটি টিকা কেনার কথা ছিল। সেই মতো টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলিকে অগ্রিম টাকাও দিয়েছিল রাজ্য (West Bengal)। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছে, বিনামূল্যে টিকা দেবে। ফলে ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে অগ্রিম টাকা ফেরত চেয়ে সংস্থাগুলিকে চিঠি দিল নবান্ন।
কিছুদিন আগে দ্রুত টিকাকরণ সারতে রাজ্যগুলিকে কোভিড ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি দেয় কেন্দ্র। শুধু দেশীয় নয়, সরাসরি বিদেশি সংস্থাগুলির কাছ থেকে টিকা কেনার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিস। সেই অনুযায়ী চলছিল টিকা কেনার কাজ। ৫ কোটি টিকা কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যা ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের দেওয়ার কথা হয়েছিল। টিকা পিছু গড়ে দাম পড়ছিল ৫০০ টাকা। সেই টিকা কিনতে উৎপাদক সংস্থাগুলিকে ধাপে ধাপে টাকা মেটাচ্ছিল রাজ্য। শেষ ধাপে ২৬ লক্ষ ডোজের জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এর পরই কেন্দ্র টিকা কেনার দায়িত্ব নিজেদের হাতে ফিরিয়ে নেয় মোদি সরকার। ফলে আর টিকা কিনতে পারবে না রাজ্য। এদিকে টিকার জন্য বিপুল অংকের অগ্রিম দিয়ে বসে রয়েছে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: দলের শীর্ষ নেতাদের অন্ধকারে রেখেই ঠিক হচ্ছে কর্মসূচি! ‘অখুশি’ দিলীপ ঘোষ]
নবান্ন সূত্রে খবর, সেই টাকা ফেরত চেয়ে উৎপাদক সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। তবে সেই চিঠির জবাব এখনও মেলেনি। ফলে কবে সেই টাকা মিলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন রাজ্যের ভাড়ারে টান রয়েছে। কার্যত নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা। এমন পরিস্থিতিতে টিকার জন্য অগ্রিম ফেরত পেতে বিলম্ব হলে রাজ্যের কোষাগারে চাপ পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদি ঘোষণা করেন, এবার থেকে দেশে উৎপাদিত মোট ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ কিনবে ভারত সরকার। সেই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারগুলির হাতে। রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিনের জন্য কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। এই প্রক্রিয়া আগামী ২১ জুন যোগ দিবস থেকে শুরু হবে।