সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ, বিপুল কাজের সুযোগ হয়েছে গত কয়েক বছরে। আসছে আরও সুযোগ। বৃহস্পতিবার হাওড়ার (Howrah) শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একাধিক নয়া শিল্প, কর্মসংস্থানের (Employment) দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জেলার শিল্পন্নোয়নের জন্য একাধিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন মমতা তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, কাশফুল থেকে বালিশ-বালাপোশের চাহিদা আছে ভালই। এখানে যদি উদ্যোগ নিয়ে সেই কাজ করা যায়, তাহলে কাশফুল থেকে নতুন শিল্প তৈরি হতে পারে। এছাড়া উলুবেড়িয়ায় শাটল কক ক্লাস্টার রয়েছে। তার আরও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে হাঁসের পালক সকলের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ‘দুয়ারে রেশন’ নিয়েও বিজ্ঞপ্তি জারি হল সরকারি তরফে।
হাওড়ার শিল্পায়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “গত দু’বছরে হাওড়ায় ২০ কোটি ৪৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ১ লক্ষ ১৬ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও ১০,৪৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে, ১ লক্ষ ৫৬ হাজার কাজের সুযোগ তৈরি হবে। নতুন ফিশিং হাব, কাশফুল দিয়ে নতুন শিল্প স্থাপন হতে পারে।” উলুবেড়িয়া শাটল কক তৈরির জন্য বিখ্যাত। এক্ষেত্রে মূল উপকরণ হাঁসের পালক। আর তা চিন কিংবা দেশের অন্য কোনও জায়গা থেকে আমদানি করতে হয়। আর এ বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ”তোমরা তো এখন হাঁসের পোল্ট্রি করছ। এখন তো গ্রামেগঞ্জে হাঁস আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে হাঁসের পালকটা সংগ্রহ করতে বলো। এবার দুয়ারে হাঁসের পালক!”
[আরও পডুন: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অবলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী! ফের টুইটে দলকে নিশানা তথাগত রায়ের]
এছাড়া নয়াচরে নতুন ফিশিং হাব (Fishing Hub) তৈরির কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ড চালু হোক। তাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের কথা উল্লেখ করেন আধিকারিকরা। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”না, কৃষকরা আলাদা। মৎস্যজীবীরা আলাদা। তাঁরা মৎস্যপালন করেন। তাঁদের জন্য আলাদাই হোক ক্রেডিট কার্ড।”
[আরও পডুন: জানুয়ারিতে রাজ্যে ফের ‘দুয়ারে সরকার’, হাওড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে দিনক্ষণ ঘোষণা মমতার]
আগেই ‘বাংলা ডেয়ারি’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি ঘোষণা করেন, নভেম্বরের শেষ থেকেই তা চালু হচ্ছে। ঘি, দুধ ছাড়াও পনিরের মতো একাধিক দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হবে। এই ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, জেলায় জেলায় কারা ‘বাংলা ডেয়ারি’র ডিলারশিপ নিতে চায়, তাঁদের খোঁজ নিতে। তাঁদের আবেদন দ্রুত পূরণ করে ব্যবসা চালু করতে সাহায্যের নির্দেশ দিলেন।