দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার বিকেলে নবান্ন থেকে সরাসরি রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। দুজনের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বলে জল্পনা। প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁরা কথা বলেন। এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনাও জানান রাজ্যপাল। ছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়ের স্ত্রীও। পরবর্তীতে রাজ্যপাল নিজেই টুইটও করেন।
এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ নবান্ন থেকে বের হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই হঠাৎ করে চলে যান রাজভবনের উদ্দেশে। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জল্পনা, রাজ্যের বিধান পরিষদ গঠন নিয়েই মূলত দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।যার মধ্যে রয়েছে পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টিও। যা নিয়ে আবার গতকালই বিজেপি বিধায়করা ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে এসবের মধ্যে রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে আলোচনাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘আকাশও গেরুয়া’, কাশ্মীর সফরের আগে সূর্যাস্তের ছবি টুইট করে ট্রোলড দিলীপ ঘোষ]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। সেই ছাড়পত্রের পরেই বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয় বিধান পরিষদ প্রস্তাব। ২০১১ সালে রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বিধানসভায় এই রিপোর্ট আনে তৃণমূল। গড়া হয়েছিল অ্যাডহক কমিটিও। প্রায় ১০ বছর পর সেই রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভোটাভুটি চান বিজেপি বিধায়করা। এরপর মোট ২৬৫ বিধায়ক ভোট দেন। এর মধ্যে ১৯৬ ভোট পড়ে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে পড়ে ৬৯ ভোট। উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়করা ছাড়া একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিও বিলের বিরোধিতায় ভোট দিয়েছিলেন। যদিও এখনই এই বিল আইনে পরিণত হচ্ছে না। এর পর প্রস্তাবটি লোকসভা যাবে। সেখানে পাশ হলে যাবে রাজ্যসভায়। তার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিধান পরিষদ প্রস্তাব আইনে পরিণত হবে। তবে লোকসভা বিজেপি সাংসদদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। ফলে এই বিল আদৌ পাশ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।