সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন নিজের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন। সেই মতোই মঙ্গলবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে একই লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংগ্রহ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের জয়হিন্দ ভবনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা। দেখা যায়, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের ভিড়ে গিয়েই দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। কার্ড সংগ্রহের লাইনে তাঁর সামনে ছিলেন তিন জন। লাইনে অপেক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্যরা কার্ড ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না, তার তদারকিও করেন তিনি। এরপর কার্ড নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া, যেমন ছবি তোলা, থাম্ব ইমপ্রেশন দেওয়া ইত্যাদি সারেন। তারপরই হাতে পান স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
দরকার নেই নগদ টাকা। শুধুমাত্র একটি স্মার্টকার্ড দেওয়া হয় নাগরিকদের। সরকারি তথ্য বলছে, রাজ্যের সাড়ে সাত কোটিরও বেশি মানুষ এখনই স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার আওতায় এসেছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার বিমার আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যের যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ক্যাশলেস চিকিৎসা করানোর সুযোগ মিলবে। পরিবারের সকলেই, এমনকী মহিলা সদস্যের বাপেরবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সব সদস্যই এর আওতায় আসবেন।
[আরও পড়ুন: ‘প্রচারের জন্য প্রকল্প ঘোষণা, মানুষ কিছুই পাবে না’, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দিলীপের]
সরকারি দপ্তরে না গিয়ে অনলাইনেও ফর্ম ফিলাপ করে স্মার্টকার্ড পাওয়া যায়। সেই কার্ডে নথিভুক্ত থাকে পরিবারের সব সদস্যর নাম, ফোন নম্বর। আবেদনকারীকে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, আধার কার্ড, জেলা, পুরসভা বা পঞ্চায়েত বাড়ির ঠিকানা এবং বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের উপরে ডানদিকে গ্রহীতাকে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি খাদ্যসাথীর কার্ড থাকে তবে তাও জানাতে হবে আবেদনপত্রে। অনলাইনে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাওয়া অত্যন্ত সহজ। WB swasthya sathi yojana @ swasthyasathi .Gov. in অনলাইনে এই ঠিকানায় আবেদন করে নিজের নাম স্বাস্থ্যসাথী পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এরপর স্বাস্থ্যসাথী মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করলেই কাজ শেষ। নাম নথিভুক্ত হলেই এই পরিষেবার আওতায় আসেন সেই ব্যক্তি।