সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম দিল্লি (Delhi) সফর। এরই মধ্যে আবার তিনি সর্বসম্মতিক্রমে তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে দায়িত্ব আরেকটু বেশি। স্বাভাবিকভাবেই চারদিনের সফর থেকে অনেক কিছুই গুছিয়ে ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অন্তত সেই লক্ষ্য নিয়েই রাজধানীতে সোমবার বিকেলে পা রেখেছেন তিনি। আর মঙ্গলবার দিনভর একাধিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুপুর থেকে সন্ধে – কার্যত ম্যারাথন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তার মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর জরুরি বৈঠক। সেদিকেই আপাতত নজর সব মহলের। বিকেল ৪টে নাগাদ দু’জনের আলোচনায় বসার কথা। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, নিঃসন্দেহে।
[আরও পডুন: মিজোরামের সঙ্গে তুঙ্গে সীমান্ত সংঘাত, নিহত অসম পুলিশের ৬ জওয়ান]
প্রতিবার দিল্লি গেলেই রাজনৈতিক সতীর্থদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ, সৌজন্য বিনিময় করেই থাকেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। খুব ব্যস্ততার মধ্যেও কয়েকজনের সঙ্গে দেখা না করে ফেরেন না সাধারণত। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলতি সফর আরও গুরুত্বপূর্ণ। চারদিনের সফরে কেন্দ্রবিরোধী জোট আরও শক্তপোক্ত করার লক্ষ্য তাঁর। এই লক্ষ্যে এগোতে একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধী ঐক্যে শান দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সোমবার বিকেলে রাজধানীতে পা রেখেই সেই কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে একটানা একাধিক বৈঠক রয়েছে মমতার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর দিল্লি সফরের প্রথম দিনের কর্মসূচি –
দুপুর ২: কংগ্রেস (Congress) নেতা কমল নাথের সঙ্গে বৈঠক।
দুপুর ৩: কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ আনন্দ শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিকেল ৪: প্রধানমন্ত্রী মোদি-মুখ্যমন্ত্রী মমতার বৈঠক।
সন্ধে ৬.৩০: কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে সাক্ষাৎ। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের হয়ে একাধিক মামলা লড়ছেন তিনি। ফলে আইনি রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে দু’জনের।
[আরও পডুন: ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের টিমকে ‘হেনস্তা’, নিন্দায় সরব Abhishek]
দলনেত্রীর এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফেই। এছাড়া এসবের আগে বেলার দিকে সংসদ ভবনেও যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হওয়ায় এখন আর তাঁর সংসদ ভবনে প্রবেশে কার্যত কোনও বাধাই নেই। তবে বিকেলে মোদির সঙ্গে বৈঠকে কী কী প্রসঙ্গ তুলতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে পেগাসাস (Pegasus) অর্থাৎ রাজনীতিবিদদের ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড। এছাড়া রাজ্যের বকেয়া আদায় এবং করোনা ভ্যাকসিনের সরবরাহের প্রসঙ্গ আসতে পারে উভয়ের আলোচনায়।