সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে পল্লবী দে, তারপর একে একে বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগী আর সরস্বতী দাস। পরপর অভিনেত্রী ও উঠতি মডেলদের মৃত্যুর ঘটনা ভীষণভাবে প্রভাব ফেলেছে জনমানসে। মানসিক অবসাদের জেরেই চরম পথ বেছে নিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম, এমন মত প্রকাশ করেন অনেকে। বর্তমান জীবনের ইঁদুর দৌড়ে মানসিক অশান্তি লেগেই থাকে। তাই শরীরের পাশাপাশি মনের যত্নেরও প্রয়োজন। বিশেষ করে গ্ল্যামার দুনিয়ার মানুষদের। তার জন্যই তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কমিশন (West Bengal Commission for Women)।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশে সম্প্রতি মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এই তথ্য জানানো হয়। পরে ফোনে কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বিভিন্ন ফ্লোরে এবং চ্যানেলগুলিতে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজন বুঝে অভিজ্ঞ মনোবিদরা পরামর্শ দেবেন।
[আরও পড়ুন: পাশে বিষের শিশি, বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার প্রত্যুষা গারিমেল্লার রহস্যমৃত্যু হায়দরাবাদে]
শুধু বিনোদন জগতে নয়, অন্যান্য সেক্টরের কর্মীদেরও এই পরিষেবা দেওয়া হবে। জরুরি পরিষেবায় যে পুলিশকর্মীরা যুক্ত থাকেন তাঁরাও চাইলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে পারেন। এর জন্য একটি ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বরেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)। যে কেউ চাইলে মহিলা কমিশনের এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সমস্যা হলেই সাধ্যমতো সমাধানের উপায় জানানোর চেষ্টা করা হবে।
বহুদিন ধরেই বাংলা টেলিভিশন ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও সামলান। এর আগে পল্লবীর দের মৃত্যুর পরও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় গ্ল্যামার দুনিয়ায় আসা নবাগতাদের উদ্দেশ্যে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, “পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকো। যেখানে আরও পাঁচজন বন্ধু পাবে। কিন্তু একা ফ্ল্যাটে থাকতে যেও না।”