ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: টিকাপ্রাপক সাড়ে সাত কোটির কাছাকাছি। টিকাকরণ শুরুর এক বছর হওয়ার আগেই ১০ কোটি ডোজ টিকা দিয়ে কোভিড (COVID-19) সচেতনতা আরও একধাপ এগিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। আর নাগরিকদের এই স্বাস্থ্য সচেতনতাকে কুর্নিশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
সোমবার দুপুরেই কো-উইন তথ্য জানিয়ে দিল, ১০ কোটি ডোজ টিকা (Vaccination) পেয়েছে ১৮ বছর ও তার ঊর্ধ্বের নাগরিকরা। এদের মধ্যে নবতিপর যেমন রয়েছেন, তেমনই স্বাস্থ্যকর্মী-করোনা যোদ্ধা-পুলিশ এমনকী, সদ্য সাবালক হওয়া কিশোর-কিশোরীও রয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের টিকা সংক্রান্ত নোডাল অফিসার ডা. অসীম দাস মালাকার জানিয়েছেন, অন্তত দুই-তিন কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজের আওতার বাইরে। এদের একটা অংশ যেমন ৮৪-১২০ দিনের মধ্যে রয়েছেন তেমনই এমন বহু নাগরিক রয়েছেন যাঁদের মোবাইল নম্বর বদল হয়েছে, ঠিকানা বদল হয়েছে, এমনকী রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছে। এরা আদও দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভালবাসার স্বীকৃতি! পরিবারের সম্মতি নিয়েই প্রেমিককে বিয়ে কলকাতার সমকামী যুবকের]
ক্রমশ ওমিক্রন কাঁটা মাথাচারা দিচ্ছে। দেশের প্রায় ১৭০ জন ইতিমধ্যে আক্রান্ত। এই সময় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা টিকাকরণের উপর আরও জোর দিয়েছেন। তাই বাকিদেরও দ্রুত টিকাকরণের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এদিন দুপুর পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট টিকাপ্রাপক ১০ কোটি ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬০৭। তার মধ্যে এদিন দুপুর পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৪১ জন। রবিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন ৬ কোটি ৪৩ লক্ষ ৩২২ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিলেন ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫৫৬ জন।
মাঝে টিকার জোগানে বেশকিছুটা ঘাটতি ছিল। টিকার অপ্রতুলতার জন্য টিকাকরণ কর্মসূচি প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কেন্দ্রে কোভিড টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আরও একটি নতুন টিকা সরকারিভাবে রাজ্যে আসতে চলেছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও শুরু হয়েছে।