দীপঙ্কর মণ্ডল: বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ, রাজ্যপালকে নিজের ইচ্ছা না চাপানোর আরজি শিক্ষামন্ত্রীর। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত পুরনো। শুক্রবার সেই ইস্যু নতুন মাত্রা পেল।
পদাধিকারবলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। এদিন তিনি টুইট করে জানান, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য পদে ওই প্রতিষ্ঠানের ‘ডিন অফ আর্টস’ তপন মন্ডলকে বসানো হল। একইদিনে উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, তপনবাবু পারিবারিক কারণে উপাচার্য পদ গ্রহণে অসম্মতি জানিয়েছেন। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই অস্থায়ী পদে আনা হল সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে সোমাদেবী শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পেলেন। ডায়মন্ড হারবার থেকে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হল অনুরাধা মুখোপাধ্যায়কে। শনিবার দু’জন নতুন দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে ৪৪, সংক্রমণ বাড়তেই কন্ট্রোল রুম খুলল পুরসভা]
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) টুইট করে বলেন, “মাননীয় মনোনীত আচার্যকে এখনও বলব, তৃতীয়বার নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যুদ্ধং দেহি মনোভাব রেখে নিজের অভিপ্রায় শিক্ষা দপ্তরের ওপর চাপাবেন না। বিধি অনুযায়ী নিযুক্ত নবনির্বাচিত উপাচার্যদের অভিনন্দন।” মাসখানেক আগে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে মনোনীত করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। টুইট করে বলেছিলেন, “রাজ্যপালকে আচার্য পদে রেখে আমরা সাম্রাজ্যবাদের উত্তরাধীকার বহন করব নাকি কোনও শিক্ষাবিদকে ওই পদে মনোনীত করব তা ভাবার সময় এসেছে।”
[আরও পড়ুন: WB Civic Polls: পুরভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছনো সম্ভব? কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের]
উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়ে রাজ্যের চব্বিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। ২৪ টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে তাঁর অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছিলেন ধনকড়। নাম না করে রাজ্যপালকে টুইটারে ‘পাগলা জগাই’ সম্বোধন করেছিলেন ব্রাত্য। এদিনও রাজ্যপালের ট্যুইটের পর তাঁর উদ্দেশ্যে পালটা টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী।