বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: তিনি বার্তা দিচ্ছিলেন। পালটা বার্তাও মিলেছিল। সখ্য বাড়ছিল একটু একটু করে। সেটাই চূড়ান্ত রূপ পেতে চলেছে। রবিবারই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকির (Abbas Siddique) সঙ্গে হাত মেলাতে পারে জোট শিবির। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা এমনই। এমনকী আব্বাসের সঙ্গে জোট চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠিও লিখে ফেলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। চিঠিতে আব্বাসের সঙ্গে জোট করার অনুমতি চেয়েছেন মান্নান। কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রীকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “আপনি অনুমতি দিলেই জোট নিয়ে কথাবার্তা এগোব।”
রাজ্যে বিজেপির (BJP) আগ্রাসন ঠেকাতে সমস্ত বিরোধী দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন আব্বাস। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি। তবে রাজ্যের জোট নেতৃত্ব তাঁর ডাকে সাড়া দেয়। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan) এবং বামেদের তরফে মহম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত বিরোধী দলনেতাই ভাইজানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। বিজেপি বিরোধিতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে জোট শিবিরে আসতে রাজি হন বলে খবর। কিন্তু ভাইজানের দাবি চিন্তায় ফেলেছে আলিমুদ্দিন ও বিধানভবনের ভোট ম্যানেজারদের। কমপক্ষে ৪০ টি আসন আইএসএফকে দিতে হবে বলে জোট নেতাদের শুনিয়ে রাখেন তিনি। সংখ্যালঘু ভোটের স্বার্থে ভাইজানকে প্রয়োজন। আবার তাঁকে এত আসন ছাড়াও সম্ভব নয়। তাই আপাতত কুড়িটি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: বিরল নজির! ভোটের মুখে অর্থমন্ত্রীর পরিবর্তে বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী]
রবিবার রাজ্যে আসছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার ওইদিনই রয়েছে জোটের তৃতীয়দফার আসনরফার বৈঠক। প্রথম দুটি বৈঠকে ১৯৩টি আসনে রফা করে ফেলেছে জোট শিবির। তৃতীয় দফায় বাকি ১০১ টি আসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেদিনই আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় জোট শিবিরের নেতারা। আব্বাসকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। এখন ভাইজান কি করেন সেদিকেই তাকিয়ে জোট শিবির। আইএসএফকে (ISF) আসন ছাড়তে হলে সিপিএম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকা আসন থেকেই তা দিতে হবে। কারণ বামফ্রন্টের ছোট শরিকরা ইতিমধ্যেই তাদের ঝুলিতে থাকা বেশ কয়েকটি করে আসন ছেড়ে দিয়েছে। বিমান বসুকে জানিয়ে দিয়েছে শরিক নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ, পুলিশকে নিরপেক্ষ হওয়ার বার্তা রাজ্যপালের]
গত লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট সম্পূর্ণটাই চলে যায় তৃণমূলে। ভাইজান জোট শিবিরে যোগ দিলে সেই ভোটের কিছু অংশ ফেরত আসার সম্ভাবনা থাকবে বলে জানিয়েছেন পার্টির রাজ্য কমিটির এক সদস্য। সবদিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।