দীপঙ্কর মণ্ডল: বিধানসভা ভোটের আগে স্কুলে স্কুলে ফুটবল (Football) বিতরণের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। এখন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে সাইকেল, বই, খাতা, পোশাক ও জুতো পায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য সবাইকে ১০ হাজার করে টাকা পাঠানো হচ্ছে। করোনা অতিমারী সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাস থেকে টানা স্কুল বন্ধ। তবে প্রত্যেকের মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণে ছেদ পড়েনি। আগামী মাসে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালু করার পরিকল্পনা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলায় আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে এবার স্কুলে ফুটবল পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার।
রাজ্যের জেলবন্দি আসামিদের বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেওয়া হয়। কেউ ছবি আঁকেন, কেউ ছেনি-হাতুড়ি হাতে স্থাপত্যকলায় মনোনিবেশ করেন। গান, আবৃত্তি, অভিনয়-সহ নানা সাংস্কৃতিক কাজেও আসামিদের উৎসাহ দেয় কারা দফতর। কিছুদিন আগে সংশোধনাগারের সদস্যরা এক লক্ষ ফুটবল তৈরি করেছেন। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন, “সংশোধনাগারের সদস্যদের তৈরি ৫০ হাজার ফুটবল ইতিমধ্যে বিভিন্ন ম্যাচে ব্যবহৃত হয়েছে। বাকি ফুটবলগুলি পড়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেগুলি স্কুলে বিতরণের কথা ভাবা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: একুশের লড়াইয়ে বাড়তি নজর উত্তরবঙ্গে, জমি পুনরুদ্ধারে নতুন মুখই ভরসা তৃণমূলের]
কয়েকদিন আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁকে আসামিদের হাতে তৈরি ফুটবলগুলির কথা জানান কারামন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল, বিধায়কদের হাত দিয়ে রাজ্যের প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রে ফুটবল বিতরণ করা হবে। কিন্তু সেই সেই প্রস্তাব শোনামাত্র নাকচ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের মাধ্যমে ক্লাবগুলিকে বিনামূল্যে ফুটবল বিতরণ নিয়েও আলোচনা হয়। ক্যারম বোর্ড, ফুটবল প্রভৃতি কেনার জন্য ক্লাবগুলি প্রতিবছর সরকারি টাকা পায়। এই কারণে আসামিদের হাতে তৈরি ফুটবল স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে সরকার।