স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। সেই কাজে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শনিবার মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর (HK Dwivedi) উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সব জেলাশাসক ও পঞ্চায়েত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৮ মার্চের মধ্যে কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দিয়ে দিতে হবে। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই এই কাজ শুরু করে দিতে চাইছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, মোট ১০ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে ভাঙা রাস্তাও মেরামত হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ইসলাম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম, ভারত যতটা মোদির ততটা মুসলিমদেরও’, দাবি ধর্মগুরুর]
এদিনের বৈঠকে এডিএম, জেলাপরিষদ এবং বিডিও-রা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিব (Chief Secretory) জানিয়েছেন, রাস্তা তৈরির এই টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে, যাতে টেন্ডার নিয়ে পরে কোনও প্রশ্ন না ওঠে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলার সময় কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না। একইসঙ্গে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে উপকরণের গুণমানের দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে। কারণ বারবার অভিযোগ ওঠে, রাস্তা তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই তা ভেঙে যায়। ফের তা তৈরি করতে হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। একই রাস্তা বারবার তৈরি করতে গিয়ে খরচ বাড়ে রাজ্যের। তাই এবার প্রশাসনের তরফে রাস্তা তৈরির উপকরণের গুণমানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে রাস্তার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য প্রতিটি ব্লকে একজন করে আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। রাস্তা তৈরির মাল মশলা উন্নত মানের কি না তা খতিয়ে দেখবেন ওই আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: যোগী গেরুয়া পরতে পারেন, আর মুসলিমরা হিজাব পরলেই দোষ! সংসদে সরব সিপিএম]
ছোট রাস্তা তৈরি করার দায়িত্ব পেয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। মাঝারি রাস্তা তৈরি করবে জেলা পরিষদ। আর বড় রাস্তা তৈরি করবে রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা। কোন কোন রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে তা সমীক্ষা করার সময়ে জিও ট্যাগে ছবি পাঠাতে হবে। কাজ শুরু করার সময় এবং শেষ করে ছবি পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করার সময়ে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা’র (PM Gram Sadak Yojana) কাজ এবং গ্রামোন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রামের খারাপ রাস্তাও মেরামত করার কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন নবান্নের কর্তারা। বলা হয়েছে, প্রত্যেক জেলার খারাপ রাস্তার তালিকা জেলাশাসকদের কাছে যাওয়ামাত্র তাঁদের দরপত্র ডেকে সেই কাজ শুরু করে দিতে হবে।