স্টাফ রিপোর্টার: ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে ফের শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। আবার ১-১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি শুরু হবে। শনিবার জেলাশাসক, বিডিও ও জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী (HK Dwivedi)।
মুখ্যসচিব জানান, টানা একমাসের এই কর্মসূচিতে ২৫টি বিষয় নিয়ে রাজ্যের নাগরিকদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে ১০০ দিনের কাজ এই ২৫টি কর্মসূচির মধ্যে থাকছে না। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী-সহ প্রায় সব কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হবে। এইসব কর্মসূচিকে নাগরিকদের চৌকাঠে পর্যন্ত পৌঁছে দিতে জেলাশাসক-সহ সব সরকারি আধিকারিকদের বিশেষভাবে তদারকি করতে হবে।
[আরও পড়ুন: আড়ি পাতা এড়াতে বিশেষ কৌশল! রাজ্যের সচিবদের আইফোন ব্যবহারের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর]
ইতিমধ্যেই রাজ্যে চারটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নভেম্বরে পঞ্চম পর্ব। বাংলার মানুষের চৌকাঠে, পাড়ায় পাড়ায় সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। নবান্ন সূত্রের খবর, এর আগে চতুর্থ পর্বের শিবিরে ৫৯ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkaer) প্রকল্প গোড়া থেকেই বহুল প্রশংসিত। এই পরিষেবা বারবার রেকর্ড গড়েছে। বহু মানুষ চটজলদি সমাধান পেয়েছেন দুয়ারে সরকার শিবির থেকে। ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ (AI) বিভাগে সেরার পুরস্কারও পেয়েছে এই জনপ্রিয় প্রকল্পটি।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের জেরে নাবালিকার গর্ভে সন্তান, ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে করার শর্তে ধর্ষককে জামিন আদালতের]
এদিনই ডেঙ্গু (Dengue) নিয়ে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আরও একবার সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, কালীপুজোর সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে জল জমে যাতে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। উল্লেখ্য, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।