shono
Advertisement

তাঁতিদের ক্রেডিট কার্ড দিতে দ্রুত ব্যবস্থা চায় নবান্ন, কড়া নির্দেশ জেলাশাসকদের

এর আগে এই মর্মে রিজার্ভ ব্যাংক এবং কেন্দ্রকে চিঠিও লেখা হয়েছে রাজ্যের তরফে।
Posted: 02:35 PM Jan 25, 2023Updated: 02:35 PM Jan 25, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: প‌্যান কার্ড না থাকায় তাঁতিদের ক্রেডিট কার্ড পেতে সমস‌্যা হচ্ছে। এই ব‌্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাংককে (Reserve Bank) কিছুদিন আগেই চিঠি দিয়েছে রাজ‌্য। এবার এই নিয়ে জেলাশাসকদেরও সতর্ক করল নবান্ন (Nabanna)। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, ছোট-ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আরও নতুন নতুন ‘এমএসএমই’ সংস্থাকে সরকারের খাতায় নথিভুক্ত করতে হবে। দিতে হবে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) পাওয়ার জন্য ৪৮ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। কিন্তু দেওয়া গিয়েছে মাত্র ১২ হাজার কার্ড। বাকি আবেদনগুলিও যাতে দ্রুত অনুমোদন করা যায় তার জন‌্য ব্যাংকগুলির সঙ্গে জেলা প্রশাসনকে কথা বলতে হবে। ব্যাংকগুলির সঙ্গে যোগসূত্র রেখে ঋণ পাইয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার সব জেলাশাসকের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগে অন্তত আড়াই লক্ষ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থা যাতে ঋণ পায় সেই টার্গেটও বেঁধে দেন।

[আরও পড়ুন: গ্রুপ সি-র নিয়োগ দুর্নীতি: মিডলম্যান প্রসন্ন-প্রদীপকে জেলে গিয়ে জেরা করবে CBI]

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস ক্যাটেগরিতে স্কচ’-এর ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটিরশিল্প। রাজ্যের হস্তশিল্পীদের আর্থসামাজিক অবস্থায় বদল আনতে মঞ্জুশ্রীর তত্ত্বাবধানে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির জন‌্য ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্প গ্রহণ করেছিল রাজ‌্য সরকার। এর ফলে হস্তশিল্পীদের হাল যেমন ফেরে, তেমনই হাল ফেরে মঞ্জুশ্রীর। লোকসানে চলা একটি সংস্থা থেকে লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয় এই সরকারি সংস্থা। সেই সঙ্গে তৈরি হয় কোটি কোটি কর্মদিবস।

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরে, ‘বিজেপি বাংলা ভাষার শত্রু’, কটাক্ষ কুণালের]

এবার আরও বেশি সংখ্যক হস্তশিল্পী বিশেষ করে তাঁতিরা যাতে সহজে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারে সেটা দ্রুত নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। বেশি সংখ্যক হস্তশিল্পী ঋণ পেলে তাঁতশিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে। ফলে আরও বেশি বেশি কর্মদিবস তৈরি করা যাবে। সেটাই লক্ষ্য রাজ্যের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement