সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজপুর বন্দর নির্মাণে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকছে রাজ্য সরকার। তাতে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। মঙ্গলবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর ফলে আদানিরা যে বন্দরের বরাত পেয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ধাপে ধাপে সেই কাজ এগিয়েছে। শুরুতে এই বন্দর তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তাঁর সঙ্গে নবান্নে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেয়ে আদানি গোষ্ঠীর হাতেই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো আদানি গোষ্ঠীও রাজ্য সরকারকে তাঁদের বন্দরে কাজ করার ইচ্ছাপত্র বা লেটার অফ ইনটেন্ট জমা দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায় আদানিরা।
[আরও পড়ুন: ফেরা হল না বাড়ি, পেটের তাগিয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু মালদহের দুই শ্রমিকের]
আদানিদের (Adani Group) সেই চিঠি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। সেই চিঠির জবাবে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের একটি প্যাঁচালো চিঠি এসে পৌঁছেছে। যাতে বন্দর নির্মাণের বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে। কেন্দ্র জানায়, রাজ্য যে কোনও সংস্থাকেই বন্দর তৈরির বরাত দিতে পারে। কিন্তু ওই সংস্থার কাজে কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে সেটার দায় রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রের সেই শর্ত রাজ্য মানতে চায়নি। তাই সেই টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তাজপুর বন্দরের (Tajpur Port) জন্য নতুন গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হবে। তিনি বলেন, ‘তাজপুরে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর কাজের জন্য তৈরি। আপনারা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলারে বিনিয়োগ আসবে’। যার অর্থ আদানিদের হাতছাড়া হয়ে গেল তাজপুর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী যখন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছেন, তখন বিজিবিএসের (BGBS) মঞ্চ আলো করে বসে মুকেশ আম্বানি-সহ দেশবিদেশের শিল্পপতিরা। তবে আদানিদের শীর্ষস্তরের কোনও প্রতিনিধি এদিন ছিলেন না।
[আরও পড়ুন: শাড়ি, গয়নায় সেজে পুরুষের জগদ্ধাত্রী বন্দনা! বাংলার কোথায় ব্যতিক্রমী রীতি পালন করা হয়?]
প্রথম দিন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মোট ২২ হাজার কোটির বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটিই বিনিয়োগ করবেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। ১ হাজার কোটি বিনিয়োগ করবেন চিকিৎসক দেবী শেঠী এবং ১ হাজার কোটি বিনিয়োগ করবে জে কে গ্রুপ।