স্টাফ রিপোর্টার: মাতৃদুগ্ধ অমৃতসমান। কিন্তু মা যদি অসুস্থ হন। অথবা জন্মের পরই শিশুকে নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে রাখতে হয়? সেই সময় শিশুর খিদে মেটাবে কে? তখন প্রয়োজন অ্যামাইনো অ্যাসিড যুক্ত একধরনের বিশেষ প্রোটিন বেবিফুড (Baby Food)। যে দুধে বাচ্চার ডায়েরিয়া হয় না। বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। কিন্তু বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। এই ধরনের বেবিফুডের আকাল দেখা দিয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তথ্য বলছে, ভারতে এই ধরনের বেবিফুড তৈরি হয় না। ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করতে হয়। গত আগস্ট মাসে শেষবারের মতো এই ধরনের বেবিফুড সরবরাহ হয়েছিল। কিন্তু তারপরে আর বেবিফুড রাজ্যে আসেইনি। ফলে মোটা টাকা খরচ করতে রাজি হলেও বাচ্চার খাবারের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাবা-মা।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীর ‘নিরাপত্তা’য় দিতে হবে ঢাল, প্রয়োজনে অনলাইনে মনোনয়ন চায় কংগ্রেস]
এই প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দেব রায়ের কথায়, ‘‘মায়ের দুধ ছাড়া অন্য যে কোনও বেবিফুড বা গরুর দুধে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ বা প্রোটিন অ্যালার্জি দেখা দেয়। তাই বিশেষ ক্ষেত্রে অ্যামাইনো অ্যাসিডযুক্ত দুধ যেমন নিওকেড, আলফামাইডের মতো বেবিফুড খাওয়ানো হয়।’’ জয়দেববাবুর কথায়, ‘‘বাজারচলতি যেসব বেবিফুড রয়েছে, তার থেকে দাম কিছুটা বেশি। তবে অন্য যেসব বেবিফুড রয়েছে তার থেকে অনেকটাই নিরাপদ।’’ জয়দেববাবুর কথায়,‘‘বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চাহিদা বাড়ছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে কলকাতা তো বটেই, রাজ্যের প্রায় কোনও ওষুধের দোকান বা খোলাবাজারে অ্যামাইনো অ্যাসিডযুক্ত বেবিফুড পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চার বাবা-মাকে স্যালাইনযুক্ত জল খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৫ আসনে জেতার টার্গেট সুকান্তর, ভিন্ন মত দিলীপের]
কিন্তু স্যালাইনযুক্ত জলে তো পেট ভরে না খুদেটার। তাই খালিপেটে তারস্বরে কাঁদছে। এদিন এমন বেশ কয়েকটি পরিবারের তরফে কলকাতার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এখনই কোনও পথ বাতলাতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে বা বাড়িতে সমস্যা প্রকট হলেও কলকাতার কোনও সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে এই সমস্যা এখনও দেখা যায়নি। এনআরএস হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. ইন্দিরা দে বলেছেন,‘‘মা বা শিশু যদি অসুস্থ থাকে সেক্ষেত্রে পাশের বেডের মা এগিয়ে আসেন বাচ্চার খিদে মেটাতে। এছাড়াও নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে ফুড সাপ্লিমেন্টের কোনও অভাব নেই।