সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে শনিবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালির ন্যাজাট৷ প্রাণহানি ঘটেছে শাসক-বিরোধী শিবির মিলিয়ে মোট চারজনের৷ এরই মধ্যে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ সোমবার বেলা বারোটার সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি৷ রাজভবন সূত্রে খবর, দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে সন্দেশখালির রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য জোগাড় করেছেন রাজ্যপাল৷ এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে দেবেন তিনি৷ রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, আইন-শৃঙ্খলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর কি তবে অন্য কোনও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
[ আরও পড়ুন: মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে হাতুড়ির সাহায্যে ফাটছে ডিম! প্রকাশ্যে সিয়াচেনে জওয়ানদের দিনলিপি ]
সন্দেশখালির ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ তৎপর হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ ঘটনার খবর কানে পৌঁছতেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠান তিনি৷ অমিত শাহের কাছে সংঘর্ষের বিবরণ পেশ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ তাঁর অভিযোগ, গোটা রাজ্যে হিংসা ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেকারণেই বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি যাচ্ছে এরাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দলও৷ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার৷ এছাড়া রয়েছেন বাগদার বিধায়ক দুলাল বর এবং বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু৷ এমনকী, ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেও পরিকল্পনা করেছে বিজেপি৷
[ আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ঘটনায় তৎপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, অমিত শাহকে রিপোর্ট দিলেন মুকুল রায় ]
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে থেকে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরও রাজ্যের একাধিক স্থানে জারি রয়েছে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর৷ যার আরও ভয়ংকর প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির ন্যাজাট এলাকা৷ জানা গিয়েছে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে শনিবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির এই অঞ্চল। দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে দু’পক্ষের অন্তত তিন জনের। যদিও বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে দুষ্কৃতি বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রদীপ মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের। নিখোঁজ আরও অনেকে৷ তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, একটি বৈঠক শেষে এলাকায় মিছিল বের করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হামলা চালিয়েছে বিজেপি৷ এবং তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।