গৌতম ব্রহ্ম: পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির আয়বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে পঞ্চম অর্থ কমিশন (Fifth Finance Commission) গঠন করল রাজ্য সরকার। চতুর্থ কমিশনের মতোই এবারও নেতৃত্বে রয়েছেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক অভিরূপ সরকার। তিনি ছাড়া, বাকি চারজন সদস্যের মধ্যে তিনজন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আমলা। তাঁরা হলেন বর্ণালী বিশ্বাস, আশিসকুমার চক্রবর্তী এবং স্বপনকুমার পাল। কমিশনের আরেক সদস্য হলেন রুমা মুখোপাধ্যায়। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চতুর্থ অর্থ কমিশনের মতোই কাজ করবে এই অর্থ কমিশনও।
কী এই কমিশন? তাদের কাজ কী? অর্থ কমিশন রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির আর্থিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে রাজ্য সরকারের আয়ের কত অংশ পাবে পুরসভা বা পঞ্চায়েত, তা দেখভাল করার দায়িত্বও বর্তায় অর্থ কমিশনের উপর। শুধু রাজ্য সরকারের প্রদেয় অর্থ নয়, পঞ্চায়েত-পুরসভা কীভাবে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করবে, তার রূপরেখাও তৈরি করে দেয় অর্থ কমিশন।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে বর্ধমানে ভোজ্য তেলের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা]
অর্থদপ্তর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পুরসভা-পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা করবে পঞ্চম অর্থ কমিশন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে তাদের। তবে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ থাকছে কমিশনের। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে চতুর্থ অর্থ কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। তার নেতৃত্বে ছিলেন অভিরূপ সরকার। তারা ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে রিপোর্ট দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ পে কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন অভিরূপ সরকার। তাঁর নেতৃত্বাধীন পে কমিশন একলাফে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন অনেকটাই বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলেন। সরকারি কর্মীদের বেসিক বেতন ২.৫৭ গুণ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। তা মেনে নিয়ে রাজ্য সরকার মূল বেতন ২.৮০৯ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ আগে যে বেতন ছিল ১০০ টাকা তা এখন বেড়ে হচ্ছে ২৮০ টাকা ৯০ পয়সা। ১০০ টাকার উপর মহার্ঘ ভাতা ছিল ১২৫ টাকা। যা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁর উপর বেতনবৃদ্ধি ১৪.২ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: হাঁস খুঁজতে তিল বাগানে যাওয়াই কাল! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের]