সুমিত বিশ্বাস: উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার। ওই চার শ্রমিকের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে ছড়ড়া-দুমদুমি গ্রামে মৃত শ্রমিকদের বাড়িতে যান পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়। রিলিফ এক্সগ্রাসিয়া হিসাবে আপাতত দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানান তাঁদের। যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে বলেও জানান। দল ও সরকারের তরফে সকলেই শোকস্তব্ধ পরিজনদের পাশে রয়েছে বলেই আশ্বাস দেন তিনি।
লকডাউনে কাজ বন্ধ। তাই কোনও আয় হচ্ছিল না। মেলেনি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের টিকিট। তাই বাধ্য হয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন বহু শ্রমিক। কারও গন্তব্য ছিল বাংলা। কেউ বিহার আবার কারও বা ঝাড়খণ্ড। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর সাড়ে তিনটে হবে। সেই সময় তাঁরা উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ঔরিয়া এলাকায় ছিলেন। আচমকাই ট্রাক ও লরির সংঘর্ষ। তাতেই বেঘোরে প্রাণ যায় অন্তত ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের৷ দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক৷ আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে আপত্তিকর মন্তব্য, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ]
নিহতদের মধ্যে ছিলেন পুরুলিয়ার চারজন বাসিন্দা। তাঁরা হলেন বছর উনত্রিশের চন্দন রেজওয়ার, বাইশ বছর বয়সি মিলন বাদ্যকার। এঁরা দু’জনেই পুরুলিয়ার মফস্বল থানার ছড়ড়া-দুমদুমির বাসিন্দা। কোটশিলার বাসিন্দা অজিত মাহাতো। এছাড়া নিহতদের তালিকায় রয়েছেন অনেশ রাজাওয়ার। তিনি পুরুলিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার খবর প্রায় কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পুরুলিয়ার বাড়িতে পৌঁছয়। তারপর থেকেই বাড়িতে লোকজনের ভিড়। শনিবার নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়। তিনি পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা করে রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেন। পরিজনদের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়িতে দেহ ফেরানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। সেই দাবিপূরণ করার চেষ্টা চলছে বলেই আশ্বাস পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে পেঁজা বরফ! ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী দিঘা]
The post উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু পুরুলিয়ার ৪ শ্রমিকের, নিহতদের পরিবারের পাশে বাংলার সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.