গৌতম ব্রহ্ম: সরকারি হাসপাতালে ‘ফাঁকিবাজি’ ধরতে এবার নতুন নিয়ম আনতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সবাইকেই এবার দিনে তিনবার করে হাজিরা খাতায় সই করতে হবে। হাজিরা খাতা রাখা থাকবে সুপার ও প্রিন্সিপালের ঘরে। অর্থাৎ প্রিন্সিপাল ও মেডিক্যাল সুপারকে সাক্ষী রেখে প্রতিটি স্বাক্ষর হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটির চেয়ারম্যান ডা. নির্মল মাজি (Nirmal Maji)ছাড়াও সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডা. দেবাশিস ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি ও ছয় অ্যাসিস্টান্ট সুপারকে। এই আটজনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে সময়মতো হাজির না থাকার অভিযোগ ছিল। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই আলাদা করে নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। তাই আপাতত সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে ইয়াসিন মালিককে’, টুইট আফ্রিদির, কড়া জবাব অমিত মিশ্রের]
হাজিরা খাতায় তিনবার সই করার বিষয়টি বলবৎ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। জেলার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) ডাক্তারবাবুদের হাজিরা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে দু’দফায় আচমকা পরিদর্শনে যান স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি। দু’দিনই ডাক্তারবাবুদের হাজিরার করুন চিত্র সামনে এসেছে। এই চিত্র জেলার প্রায় সব হাসপাতালেই কমবেশি রয়েছে। হাজিরা খাতা থাকলেও তাতে নজরদারির কোনও বালাই ছিল না। ফলে আউটডোর ছাড়া অন্য কোনওদিন ডাক্তারবাবুদের হাসপাতালে দেখা যেত না। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসক কর্তা হাসপাতালে ঘুরে ফাঁকিবাজির এই নমুনা প্রত্যক্ষ করেছেন।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট, ইস্টবেঙ্গলের নতুন ইনভেস্টর হচ্ছে ইমামি গ্রুপ]
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসচিব নিজে যেমন টিম নিয়ে জেলার হাসপাতালগুলি পরদর্শন করেন, তেমনই আচমকা পরিদর্শনও চলবে। বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) কার্ডকে মান্যতা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার সতর্ক করেছেন। এই বিষয় নিয়েও জেলার হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।