গৌতম ব্রহ্ম: বর্ষশেষে আবাস যোজনা নিয়ে নবান্নে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। মাত্র তিনদিনের মধ্যে আরও ৯ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দিতে হবে। নইলে ফেরত যেতে পারে প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ। বুধবার মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে একটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে চূড়ান্ত লক্ষ্যসীমা বেঁধে দেন তিনি। এছাড়া আবাস যোজনা প্রকল্প আরও স্বচ্ছ করতে একাধিক সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
Advertisement
- রাজ্য লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৮১ হাজারের মতো বাড়ির চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে। বর্ষশেষের আগে আরও ৯ লক্ষ নাম চূড়ান্ত করতে হবে।
- উপভোক্তাদের মধ্যে গৃহহীনদের জন্য সরকারি জমি চিহ্নিতকরণের কাজ বিএলএলআরওদের দ্রুত পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- নির্মাণের অন্যান্য কাঁচামাল সরাসরি ডিলারের কাছ থেকে কেনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
- বাড়ি নির্মাণের জন্য ইটভাটা থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ইট সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধের প্রস্তুতি, কেন্দ্রের কাছে ২১ লক্ষ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন চাইবে রাজ্য]
- নির্মাণের কাজ নজরদারি করতে ব্লক স্তরে চালু কন্ট্রোলরুম।
- কাজের অগ্রগতি ব্লক থেকে মহকুমা ও জেলাশাসক স্তরে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে।
- অর্থ বরাদ্দের ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে।
- প্রত্যেক মাসে ১০-১৫ তারিখ পর্যন্ত আবাস সপ্তাহ করে এই নির্মাণের কাজে তদারকি করতে হবে।
- আবাস বন্ধুদের প্রতি সপ্তাহে সশরীরে গিয়ে দেখতে হবে কতদূর কাজ এগোল।
- বরাদ্দ টাকা খরচের আগে বাড়ি ধরে ধরে জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলক। পরিদর্শনে যাওয়ার সময় জিও ট্যাগিং করতে হবে আবাস বন্ধুদের। প্রত্যেক বাড়িতে স্বচ্ছ ভারত মিশন বা নারেগার টাকায় শৌচালয় তৈরি করে দিতে হবে। বাড়ির চারদিকে বায়ো ফেন্সিং বা গাছ দিয়ে বেড়া দিতে হবে। যাতায়াতের পথ করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে সরকারি পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছনোই লক্ষ্য। আবাস যোজনার সমস্যা সমাধানে এর আগে বিশেষ টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) গঠন করা হয়। রাজ্য রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব পি উল্গানাথনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছিল।