ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) অসুস্থ। শুক্রবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে যান রাজ্যপান। বর্তমানে নিউরো মেডিসিন বিভাগে রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাথা ও ঘাড়ের এমআরআই করা হয় তাঁর।
দিনকয়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল। যাওয়ার পথে গাড়িতেই বমি করেন। এরপর অসুস্থ বোধ করেন। সে কারণেই শুক্রবার নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. বিমানকান্তি দাস এবং মেডিসিনের চিকিৎসক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে যান। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শমতো বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকড়ও। হাসপাতালে পৌঁছনোর পরই রাজ্যপালের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। সূত্রের খবর, মাথা এবং ঘাড়ে এমআরআই করা হয় তাঁর। রাজ্যপাল জানান, “আমার কিছু শারিরীক সমস্যা ছিল। চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে বলেছিলেন। সেই কারণেই হাসপাতালে এসেছি। এসএসকেএমে সেরা চিকিৎসকরা রয়েছেন। ফাইনাল চেক আপের পর প্রেসক্রিপশন দেবেন তাঁরা।” চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৪০ জন পড়ুয়া-সহ উধাও সল্টলেকের স্কুলের ৩টি বাস, চারঘণ্টা পর মিলল খোঁজ]
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবারই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একাধিকবার টুইট বার্তা, সাংবাদিক সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে তলবের পর অবশেষে সাড়া দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে কথাবার্তা বলেন দু’জনে। একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যদিও সাক্ষাতের বিষয়ে মুখে কুলুপ নবান্নের।
রাজ্যপালের তরফেও টুইট করে স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীর আগমন বার্তাই জানানো হয়। টুইটে তিনি জানান, মূলত আলোচনা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সমস্ত তথ্য দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জনতার কাজ করতে তিনিও পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, নবান্ন-রাজভবন একযোগে কাজ করবে, মুখ্যমন্ত্রীকে এই আশ্বাসও দিয়েছেন ধনকড়। তবে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বা CMO’র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।