সুদীপ রায়চৌধুরী: দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দেখা পায়নি তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েও কি হতাশ হতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের? আপাতত সেই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কারণ, তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের আগেই রাজভবন ছেড়ে ‘অন্যত্র’ চলে গিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।
মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। মাঝরাতে দিল্লিতে দাঁড়িয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘোষণা করেন, হেনস্তার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার এক লক্ষ মানুষ নিয়ে রাজভবন অভিযান করবে তৃণমূল। অভিষেক জানান, রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। তাই কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে তাঁর হাতেই বঞ্চিত মানুষের ৫০ লক্ষ চিঠি তুলে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: জি-২০ ফুরোতেই নটে গাছটি মুড়োল! দিল্লিতে দৌরাত্ম্য গাছ চোরেদের]
কিন্তু ঘটনা হল অভিষেকের এই ঘোষণার আগেই রাজভবন থেকে কোচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, কোচি থেকে বুধবার সকালেই রাজ্যপাল উড়ে গিয়েছেন দিল্লি। কিন্তু তাঁর ঠিক কী কর্মসূচি? কার সঙ্গে দেখা করবেন? কিছুই জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল কোচি এবং দিল্লি গিয়েছেন সামান্য কিছু কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর সফর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাজভবনের কর্মীরাও বিশেষ জানেন না। এমনকী বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপাল ফিরবেন কিনা, সেটাও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন, ‘মুখ পোড়া’র আশঙ্কা করছে সিপিআইও]
আর তাতেই বাড়ছে ধন্দ। তাহলে কি অভিষেকদের সাক্ষাৎ এড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজভবন ছাড়লেন রাজ্যপাল? রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, তৃণমূলের রাজভবন অভিযানকে গুরুত্বহীন করতে বৃহস্পতিবার রাজভবনে অনুপস্থিত থাকতে পারেন সি ভি আনন্দ বোস। তবে তৃণমূল (TMC) সূত্রের খবর, যদি রাজ্যপাল নাও থাকেন, তাতেও অভিযান হবেই। দরকারে রাজ্যপালের প্রতিনিধির হাতে চিঠি তুলে দেবেন অভিষেকরা।