অভিরূপ দাস: কেউ বেডের ভাড়া বেশি নিয়েছে। কেউ ওষুধে এক টাকাও ছাড়া দেয়নি। অভিযোগ জমা পড়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখেই সাত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য কমিশন। চিকিৎসার খরচে রাশ টানতে ২০২০ সালেই অ্যাডভাইসরি জারি করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (West Bengal health commission)।
কোভিডের প্রথম, দ্বিতীয় ঢেউয়ে অগুনতি হাসপাতাল সেই অ্যাডভাইসরি না মেনে শাস্তির কোপে পরেছিল। সোমবার নতুন করে আরও সাত হাসপাতালকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। সেই তালিকায় রয়েছে ভবানীপুরের মাইক্রোল্যাব, সল্টলেকের সেবা হাসপাতাল, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের আরোগ্য হাসপাতাল, রাণীগঞ্জের রয়্যাল কেয়ার হাসপাতাল, উত্তরপাড়ার উই কেয়ার এবং যাদবপুর, চিংড়িঘাটার আরও দুই বেসরকারি হাসপাতাল।
[আরও পড়ুন: কাটল জটিলতা, বিধানসভায় নবনির্বাচিত ৪ বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার]
যাদবপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গীতা সেনগুপ্ত(৬৪)। তাঁর স্বামী পান্নালাল সেনগুপ্ত রাজ্য সরকারের প্রাক্তন কর্মচারী। ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমে থাকার দরুন গীতাদেবীর চিকিৎসা হওয়ার কথা ছিল ওই স্কিমেই। অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতাল সে স্কিমে চিকিৎসা করেনি। হাসপাতালের বক্তব্য, স্কিমের আওতায় যতগুলি বেড তার সবই ভরতি ছিল। ছ’দিনে গীতাদেবীর কোভিড চিকিৎসার বিল হয় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। তার থেকে ৩৪ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলেছে কমিশন।
টালিগঞ্জের রিনা মিত্র গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বামী অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায় ভর্তি ছিলেন টালিগঞ্জের আরোগ্য নার্সিংহোমে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ১০ দিনের চিকিৎসায় বিল হয় ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৫০০ টাকা। ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বিল বকেয়া ছিল রোগীর পরিবারের। বিল খতিয়ে দেখে কমিশন জানিয়েছে, একাধিক জায়গায় অতিরিক্ত বিল নিয়েছে ওই হাসপাতাল। মূল বিল থেকে আরও ৯৫ হাজার টাকা কমাতে হবে তাদের।
[আরও পড়ুন: দু’বছর পর রাজ্যে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন, রাজ্যপালকে বিদেশে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করার আরজি]
শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা খরচই নয়, অনেকক্ষেত্রে প্যাথোলজিকাল টেস্টের জন্যেও কমিশনের বেধে দেওয়া রেটের থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে হাসপাতাল। তেমনই একটি অভিযোগ জমা পরেছে বাগবাজারের সঞ্জীবনী হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর হাতে ২৩৫ টাকা ফেরত দিতে বলেছে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।