গৌতম ব্রহ্ম: বর্ষশেষেও পিছু ছাড়ছে করোনা। বরং আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ভাইরাস। চিনে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য। তা সত্ত্বেও মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। বুধবার বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। ছিলেন সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ আরও অনেকে। এদিনের বৈঠকে পাঁচ দফা গাইডলাইন চালু করেছে রাজ্য সরকার।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের জারি করা ৫ দফা গাইডলাইনগুলি কী কী?
- যে হাসপাতালে পরিকাঠামো নেই সেখানে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। প্রয়োজন হলে পূর্ত দপ্তরের সাহায্য নিতে হবে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেডের বন্দোবস্ত করতে হবে।
- করোনা রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তাই হাসপাতালের প্রতিটি বেডে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে হবে। আশঙ্কাজনক, অতি আশঙ্কাজনক রোগীর কথা মাথায় রেখে সবরকমের বেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- করোনা মোকাবিলার প্রথম শর্ত তড়িঘড়ি আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই করতে হবে নমুনা পরীক্ষা। সে কারণে প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট মজুত রাখতে হবে। থাকতে হবে আরটিপিসিআর টেস্টের বন্দোবস্ত।
[আরও পড়ুন: UGC’র জোনাল কমিটিতে ব্রাত্য বাংলা, বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ক্ষোভপ্রকাশ শিক্ষামন্ত্রী]
- প্রতিটি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে।
- বর্তমানে টিকাকরণে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। তার ফলে ধুঁকছে রাজ্যের বহু টিকাকরণ কেন্দ্র। ফের রাজ্যবাসীকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতির ক্ষেত্রে জেলাশাসক এবং সিএমওএইচদের সম্পূর্ণরকম সহযোগিতা করতে হবে। হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে গিয়ে অন্য রোগী যাতে কোনওভাবে অবহেলিত না হন, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ মুখ্যসচিবের। এদিনের বৈঠকে আরও বলা হয়, করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট BF.7-এর খোঁজ পাওয়া গেলে, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্যদপ্তরে জানাতে হবে।