shono
Advertisement

Breaking News

রক্তরোগের শিকড় খুঁজতে দুয়ারে পরীক্ষা, রাজ্যেজুড়ে কর্মসূচি স্বাস্থ্যদপ্তরের

৬ মাসে আড়াই লক্ষ‌ রোগী চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করবে স্বাস্থ্যদপ্তর।
Posted: 12:06 PM Jul 25, 2022Updated: 12:27 PM Jul 25, 2022

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ‘দুয়ারে রক্তপরীক্ষা!’ বংশগত রক্তরোগ সিকেল সেল-এর (Sickle Cell) শিকড় খুঁজে বের করে চিকিৎসা শুরু করতে রাজ‌্যজুড়ে এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ‌্য দপ্তর (Health Department of WB)। গাঁটে ব‌্যথা, বারেবারে জ্বর। শুকনো কাশি। ডাক্তারবাবুও সহসা ধরতে পারেন না রোগের কারণ কী? কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করে ধরা পড়ল দুরারোগ‌্য সিকেল সেল আক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গে এমন রোগীর সংখ‌্যা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর বাইরেও অনেকে রয়েছে। হদিশ মিলছে না। তাঁদের খুঁজে বের করতে পাড়া বা মহল্লায় আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে রক্তপরীক্ষা শিবির শুরু হচ্ছে।

Advertisement

স্বাস্থ‌্য দফতর সূত্রে খবর, রোগী শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করতে গ্রাম পঞ্চায়েত বা মহল্লায় ক‌্যাম্প করা হবে। আক্রান্তের হদিশ পেতে রক্ত পরীক্ষা হবে। স্কুল-কলেজেও রক্তপরীক্ষা শিবির হবে। স্টেট ব্লাড সেলের (State Blood Cell) টার্গেট ৬ মাসের মধ্যে আড়াই লক্ষ‌ রোগী চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করা। সিকেল সেলে আক্রান্তর লোহিত রক্তকণিকা ক্রমশ ভাঙতে শুরু করে। অনেকটা কাস্তের আদলে বদলে যায়। রক্ত অক্সিজেন সংবহন করতে পারে না। ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুও হতে পারে।

[আরও পড়ুন: ‘মাকে দেখবেন’, মন্তব্য করে ফের ট্রোলড পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা]

স্বাস্থ‌্য দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হাওড়া, হুগলি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার তফসিলি জাতি, উপজাতিদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। স্বাস্থ‌্য দপ্তরের ব্লাড সেলের কর্তাদের কথায়, ‘‘নেসট্রফ সলিবলিটি’ রক্তের একটি বিশেষ পরীক্ষা। রাজ্যের মোট নাগরিকদের ৫.৮ শতাংশ তফসিলি জাতি ও উপজাতি। কিন্তু এই বারোটি জেলায় তফসিলি উপজাতিদের সংখ‌্যা প্রায় ৭-১১ শতাংশ। এই জনসংখ‌্যার একটা বড় অংশ সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত। আবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্যমন্ত্রকের একটি সমীক্ষা বলছে, এই ১২টি জেলার জনসংখ‌্যার ১.১৪ শতাংশ এই রোগে ভুগছেন। আবার কলকাতা-সহ আটটি জেলায় আক্রান্তের সংখ‌্যা ৩.১৪ শতাংশ। স্টেট ব্লাড সেলের এক কর্তার কথায়, ‘‘সমীক্ষা রিপোর্ট যাই বলুক, শিশু-কিশোর বিশেষ করে ২-১৮ বছরের মধ্যে এমন উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। সিকেল সেল আক্রান্ত বা রোগ পজিটিভ হলে রাজ্যের ৩৭টি থ‌্যালাসেমিয়া টেস্ট ইউনিট থেকে নিখরচায় চিকিৎসা শুরু হবে।

আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পাশাপাশি প্রয়োজনে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও কাজে যুক্ত করা হবে। তবে স্বাস্থ‌্য দপ্তরের ব্লাড সেল ও মেডিক‌্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ‌্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশনের নিয়ন্ত্রণে গোটা কাজ নিয়ন্ত্রিত হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement