টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরের মটুকগঞ্জ এলাকার একটি নার্সিংহোমে রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে পালস অক্সিমিটারের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা! নার্সিংহোমের হেল্প ডেস্কের দেওয়ালে টাঙানো রেট চার্টেই সেই ভাড়া লেখা রয়েছে। শুধু পালস অক্সিমিটার ( Pulse Oximeter) নয়, শারীরিক পরীক্ষার জন্যও মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার ওই নার্সিংহোমে হানা দিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপকুমার দত্ত। নার্সিংহোমের হেল্প ডেস্কে টাঙানো ওই রেট চার্ট সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি চিকিৎসা এবং তার বিল সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি দ্রুত মহকুমা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তাঁরা।
মহকুমা শাসক পরে বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা নার্সিংহোমে এসে জানতে চাই কীসের ভিত্তিতে চিকিৎসার এই রেট স্থির করা হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে কী নথি রয়েছে তা-ও দেখাতে বলা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করানো রোগীদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তার নথিও খতিয়ে দেখা হবে। রেট চার্টে লেখা পালস অক্সিমিটারের ভাড়া নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছিল। সরকারি ভাবে এমন কোনও রেট দেওয়া হয়নি। তা হলে কীসের ভিত্তিতে ওই নার্সিংহোম ওই রেট স্থির করেছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।”
[আরও পড়ুন: কোন্নগরে বেসরকারি লজে Covid Vaccination Camp-এর আয়োজন, প্রতিবাদে সরব BJP]
নার্সিংহোম (Nursing Home) কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা ও যন্ত্রপাতির ভাড়া বাবদ বাড়তি চার্জ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। নার্সিংহোমের ম্যানেজার রমেশ রায় বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রেট চার্ট টাঙাতে হয়।লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের সময় মালিকের নির্দেশে ওই রেট চার্ট টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু ওই রেট চার্ট অনুযায়ী চিকিৎসার খরচ নেওয়া হচ্ছে না। এই নার্সিংহোমে যে রোগীরা ভর্তি আছেন অধিকাংশেরই নির্দিষ্ট প্যাকেজের বিনিময়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।”