সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার ধাক্কায় প্রায় জবুথবু গোটা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Covid Wave) আসন্ন। একটু বেপরোয়া হাবভাব দেখালেই তা ভয়ানক রূপ নিতে পারে। কারও কারও দাবি, তৃতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি শিশুদের। যদিও তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তাই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত শিশুদের ডায়ালিসিস এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউতে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সংক্রামিত হয়ে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শিশুর সংখ্যা অনেক। তাই শিশুদের চিকিৎসা পরিকাঠামো বিশেষভাবে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে PICU বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, NICU বা নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং পেডিয়াট্রিক ও নিওনেটাল ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বড় এবং ছোটদের মধ্যে করোনার উপসর্গের বিশেষ ফারাক নেই। সেক্ষেত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত কোনও শিশুর শারীরিক সমস্যাও একইরকম হতে পারে। শিশুর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Covid-19: তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত? শিলিগুড়িতে Delta ভ্যারিয়েন্ট ও UK স্ট্রেইনে সংক্রমিত ৭]
মূলত কিডনিজনিত সমস্যা, ক্রিটিকাল কেয়ারের উপরেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও ডায়ালিসিসের সঙ্গে যুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদেরও দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। তাছাড়া ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এই মর্মে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্যের যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে, সেখানেই দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। অনলাইন এবং অফলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করার নির্দেশ স্বাস্থ্যদপ্তরের।