বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: গলছে বরফ, মসৃণ হচ্ছে জোটের পথ। আগেই নরম ছিল বামেরা। এবার কংগ্রেস। ভাইজানের দাবির সিংহভাগ বিধানভবন মেনে নেওয়ায় জোটের জটিলতা কাটতে চলেছে। নিজেদের ঝুলিতে থাকা বেশ কয়েকটি আসন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছাড়তে সম্মত অধীর চৌধুরীরা (Adhir Ranjan Chowdhury)।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) সঙ্গে জোটের দুই শরিক সিপিএম ও কংগ্রেসের আসনরফা চূড়ান্ত করতে বুধবার রাতে বৈঠক হয়। বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে যায় কংগ্রেস। তখনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের জেতা আসন কোনওভাবেই ভাইজানকে ছাড়বে না। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু আসন দাবি করে আব্বাস সিদ্দিকিরা। কিন্তু কংগ্রেস ছাড়তে রাজি না হওয়ায় জোটের অন্দরে বিতর্ক দানা বাঁধে। এর পরই বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন বিধান ভবনের তিন শীর্ষনেতা অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান (Abdul Mannan) ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। আব্বাসের দাবি মেনে আটটি আসন ভাইজানকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে বালিগঞ্জ ও বন্দর আসন নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি বলে বিধান ভবন সূত্রে খবর। এই দুটি আসনই কংগ্রেস (Congress) নিজেদের হাতে রাখতে চায়। ২৮ তারিখের আগে প্রদেশ সভাপতি শহরে আসবেন না। বাকি দুই কংগ্রেস নেতাও দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকবেন। ফলে ব্রিগেড সমাবেশের আগে আর তিন পক্ষ মুখোমুখি বসার পরিস্থিতি নেই। যেটুকু জটিলতা রয়েছে তা আলিমুদ্দিন ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নেবে। তবে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলায় এখনও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরও সক্রিয় রাজ্যপাল, SSKM-এ গিয়ে দেখে এলেন জাকির হোসেনকে]
অন্যদিকে, ঘরের সমস্যা মেটাতে বুধবার সন্ধ্যায় বামফ্রন্ট আরএসপির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে আলিমুদ্দিন। বৈঠকে জোটের পক্ষে ইতিবাচক জঙ্গিপুর আসনটি আরএসপিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম। বদলে বরানগর আসনটি আরএসপির থেকে আলিমুদ্দিন দাবি করে বলে সূত্রের খবর। আজ শুক্রবার আরেক ছোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে বসবেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।