শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ভূমিপুত্র হয়েও নিজের এলাকার সমস্যা নিয়ে ওয়াকিবহাল নন আসানসোল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়া, সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নিজেই জানালেন সেই কথা। ভোটের টিকিট পাওয়ার পর শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে আসানসোলে পা রাখেন বিজেপি প্রার্থী। ঘাগরবুড়ি মন্দিরে পুজো দেন। প্রসাদ বিলি করেন। ভোগ খান। সাংবাদিক বৈঠকে যোগও দিলেন তিনি।
আসানসোলে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে কোন বিষয়টিকে প্রাথমিক গুরুত্ব দেবেন, এই প্রশ্ন করা হয় আলুওয়ালিয়াকে। তাঁর স্পষ্ট উত্তর, "আমি আগে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে যাব। বিধানসভা কেন্দ্রগুলির আলাদা আলাদা সমস্যার কথা জানব স্থানীয়দের কাছে। তার পর আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই বিষয়গুলি নিয়ে বলতে পারব।" আসানসোলের কোনটা প্রকৃত সমস্যা এবং কোন সমস্যা সমাধানে করতে সচেষ্ট হবেন তাও তিনি জানাবেন। বিজেপি প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয়, "আপনি তো ভূমিপুত্র, তাহলে এই এলাকার শিল্প সমস্যাগুলি সম্পর্কে কেন তিনি কিছু বলছেন না?"
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান, ভারতীয়দের কী বার্তা বিদেশমন্ত্রকের?]
আলুওয়ালিয়ার বাবা জে কে নগরে অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করতেন। যখন তাঁর বাবা কাজ হারান তখন তিনি ছাত্র। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেষ করাতে ও সংসার টানতে ওই সময় তাঁর বাবা বিহারে গিয়ে ছোট্ট ব্যবসা শুরু করেন। ওই কারখানা বন্ধের পিছনে ছিল লাল সন্ত্রাস। তিনি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, "সিপিএম নেতা হারাধন রায়ের আন্দোলনে ওই কারখানা বন্ধ হয়েছিল। একইভাবে বামেদের জন্য বন্ধ হয়েছিল গ্লাসফ্যাক্টরি, স্যানরেলে সাইকেলে কারখানা।"
বিজেপি প্রার্থীর আরও দাবি, তিনি বিহার থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ১২ বছর। ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ১২ বছর। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। দার্জিলিংয়ের সাংসদ ছিলেন। সাংসদ ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রেরও। যাযাবরের মতো তিনি মানুষের সেবা করেছেন। এবার ভূমিপুত্র হিসেবে নিজের সাংসদ এলাকার মানুষের সেবা করতে চান বলে আসানসোলে যান। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। এদিন সন্ধ্যায় গাজন উৎসব উপলক্ষে আসানসোল গ্রামে যান। শনিবার কুলটিতে গুরুদুয়ারাতে যাবেন। রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, সোমবার থেকে তিনি জনসংযোগে নামবেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। সমস্যার কথা জানবেন।