রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একটা, দুটো নয়! রাজ্যে ভোটের আবহে আরও ৬টি জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। আগামী দিন দশেকের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভাগুলি করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো এরাজ্যেও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। যা অতিরিক্ত চিন্তায় রাখছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতাদের। সব সতর্কতা মেনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাগুলিতে করোনা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেসব নিয়েই আপাতত আলোচনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। সেই সঙ্গে পরিকল্পিত কর্মসূচি ঠিকঠাক ভাবে পালন করা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাও রয়েছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল তথা রাজ্যের পঞ্চম দফা ভোটের দিন জোড়া সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে মোদির সমাবেশে ভালই জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। পরে দু’দফায় আরও অন্তত চারটি জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। যার মধ্যে দুটি রয়েছে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। একটি বোলপুর এবং আরেকটি সভা হওয়ার কথা খাস কলকাতায়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়েরও বেশ কিছু জনসভা রয়েছে রাজ্যে। শুক্রবারই ফের রাজ্যে আসছেন শাহ। রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), স্মৃতি ইরানিরাও বেশ কয়েকটি সভা করবেন। সভা বা রোড শো করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডারাও। কেন্দ্রীয় নেতাদের এই একগুচ্ছ কর্মসূচি কোভিড বিধি মেনে সামাল দেওয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বঙ্গ বিজেপির।
[আরও পড়ুন: বৈদ্যনাথের মন্দিরে গিয়ে পুজো কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিধায়কের, গ্রেপ্তারির দাবি বিজেপির]
বিজেপি সূত্রের খবর, এবার থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সভাগুলিতে অতিরিক্ত সতর্ক হচ্ছেন রাজ্য নেতারা। প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতাদের সংস্পর্শে যাঁরা আসেন তাঁদের সভার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক। এবার থেকে সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ির করার কথা ভাবছে রাজ্য বিজেপি। কর্মীদের কথা ভেবে সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হবে। সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে, সমাবেশে আসা মানুষেরা সকলেই যেন মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁদের মাস্ক থাকবে না, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হবে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বদল বৈঠক। সেই বৈঠকে করোনা সংক্রান্ত নতুন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয় কিনা, সেদিকেও নজর রাখবে গেরুয়া শিবির।